শেরপুরে নানা অনিয়মের অভিযোগে লছমনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৯ সদস্যের অনাস্থা প্রস্তাব

প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২২

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্থাব করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য। ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাব সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করেছেন তারা।

অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের ৮ মাস মেয়াদকালে ইউপি সদস্যদের নিয়ে একটিও সভা করেননি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই। কোন আলোচনা ও পরামর্শ না করে সব কাজ একা মনগড়া করার অভিযোগ করা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাবে। ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স বাবদ সাত লাখ টাকা উত্তোলন করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ও পরিষদের ইউপি সদস্য ও মহিলা সদস্যকে বেতন ভাতা না দেয়ার অভিযোগও করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের নামে বিভিন্ন ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়ে পরবর্তীতে গোপনে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ এবং গত ৮ মাস ধরে ধারাবাহিক বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন ৯ জন ইউপি সদস্য। এছাড়া সরকারি অনুমতি ছাড়া রাস্তার পাশের গাছ কাটার অভিযোগও করা হয়েছে।
অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে লছমনপুর ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্বাস আলী বলেন, এই চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে নিজের ইচ্ছেমতো যা ইচ্ছা তাই করেন। আমাদের সাথে কোন আলোচনা বা পরামর্শ করেন না। টাকা পয়সার হিসাব না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেন। তিনি মহিলা ইউপি সদস্যদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান। তাই আমরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করি সঠিক তদন্তের পর দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে লছমনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই বলেন, আমি এখনো কাগজটা হাতে পাইনি। তবে যা শুনলাম, তাদের উল্লেখ করা মন্তব্যগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কাগজ হাতে পেলে বিস্তারিত বলতে পারবো।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, আমি অনাস্থা প্রস্তাবটি হাতে পেয়েছি। এটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানোর পর তদন্ত শুরু হবে। তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে, পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।