তাদের একজন হলেন ন্যাচো ফার্নান্দেজ। সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ও রাইট ব্যাক হিসেবে খেলতে পারেন এই স্প্যানিশ ফুটবলার। ক্যাডিজের বিপক্ষে রাইট ব্যাকে তিনি খেলেছেন দানি কারভাহালের জায়গা পূরণ করতে। কিন্তু ন্যাচো ডান প্রান্ত দিয়ে কোন আক্রমণই তুলতে পারেননি। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কার সাংবাদিক কার্লোস কার্পিওর মতে, ন্যাচো রিয়ালের প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না।

লুকাস ভাসকেসও আছেন একই তালিকায়। রিয়াল তাকে ক্লাব দেখতে বলেছিল। সঙ্গে ভাসকেসের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এও বলেছিল, রিয়াল তাকে ক্লাব ছাড়তে জোর করবে না। ভাসকেসের হাতে তাই বেশকিছু ক্লাবের প্রস্তাব থাকলেও সান্তিয়াগো বার্নব্যুতে থেকে গেছেন তিনি। কিন্তু রাইট উইঙ্গে ক্যাডিজের বিপক্ষে জিদান তার ওপর ভরসা রেখে ভুলই করেছেন। রাইট ব্যাক হিসেবেও ভাসকেসে ভরসা রাখা কঠিন।

রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার ইসকোও হতাশ করেছেন কোচকে। সবসময় ইসকোর ওপর ভরসা রেখেছেন জিদান। কিন্তু ইসকোর আধুনিক ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে রিয়ালে খেলা কিংবা রিয়ালের প্রত্যাশা মেটানোর ক্ষুধা নেই বলে প্রশ্ন তুলেছেন ওই সাংবাদিক। বার্সেলোনায় সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভালদো তো বলেই দিয়েছেন, ইসকোর উচিত জেমস রদ্রিগেজের মতো ক্লাব খুঁজে নেওয়া। সেরাটা দিয়ে খেলা।

জিদানের আরেক গলার কাঁটা হয়ে উঠেছেন মার্সেলো। ব্রাজিলিয়ান লেফট ব্যাক তার সেরা সময় ফেলে এসেছেন। ইনজুরির কারণে ৩২ বছরেই উল্টো রথে ঘুরছে তার ক্যারিয়ার। জিদানের এই পছন্দের ফুটবলার আর রিয়ালের পত্যাশা মেটাতে পারছেন না। বর্তমান প্রতিযোগিতার ফুটবলের বাজারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো শারীরিক সক্ষমতাও মার্সেলোর নেই বলে মনে করা হচ্ছে। লস ব্লাঙ্কোসদের সঙ্গে মার্সেলোর চুক্তি আছে আরও দুই মৌসুম। সংবাদ মাধ্যম ডন ব্যালন দাবি করেছে, ওই চুক্তি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে যেতে পারেন মার্সেলো।