দলের ত্যাগী কর্মীদের কাছে টেনে নিতে হবে: কাদের

প্রকাশিত: ১:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে আওয়ামী লীগের কমিটি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘ত্যাগী কর্মীদের দূরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নিতে হবে। তাদের রাজনীতির পথ মসৃন করতে হবে। কারণ তারাই দুঃসময়ে দলের পাশে থাকবে।’ শনিবার সকালে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটি শক্তিশালী এবং গণমুখী  সংগঠনের জন্য সাংগঠনিক ঐক্যের বিকল্প নেই। সংগঠনের মজবুত জনভিত্তি তৈরি করতে হলে থাকতে হবে ঐক্যবদ্ধ। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মাদকসেবী ও চিহ্নিত অপরাধীদের বিষয়ে থেকে আগেভাগেই সতর্ক থাকতে হবে।’

৭ নভেম্বরের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জেনারেল জিয়া সরাসরি বেনিফিশিয়ারি ছিলেন। বিপ্লব ও সংহতির মোড়কে সেদিন ষড়যন্ত্র করে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন ও চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করতে এবং দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটেছিল। যার মধ্যে  অনেক কিছুই এখনো ইতিহাসের আড়ালে রয়ে গেছে। ইতিহাসের এসব অজানা তথ্য তদন্তের মাধ্যমে বের করে আনা এখন সময়ের দাবি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শেকড় এদেশের মাটির অনেক গভীরে, দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের শেকড়।’

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার কারনে বিএনপি এখন অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। বিএনপির রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে  আছে।’

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহেদ মালেক এবং সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগম এবং মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম।