শেরপুরে ঈদের কেনাকাটায় উপচে পড়া ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব

প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে করোনাভাইরাস ভীতি উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় শহরের মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়েছে। কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতা কারোর মাঝেই নেই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই। এতে ঈদের পর করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন শেরপুরের সচেতন মহলসহ সংশ্লিষ্টরা।
৯ মে রবিবার দুপুরে সরেজমিনে শহরের নিউমার্কেট, শহীদ বুলবুল সড়ক, নয়ানীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, পছন্দের জিনিস কিনতে এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছুটছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষজন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করে শপিংমল, শো-রুম, ফুটপাত- সব জায়গাতেই কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। শহরের সব জায়গাতেই নারী-পুরুষসহ আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার ভিড়। অভিভাবকদের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটায় এসেছে শিশুরাও। কেনাকাটার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। গা ঘেঁষে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে দেদারসে চলছে কেনাকাটা। কারো কারো মুখে মাস্কই নেই। কারো মুখে মাস্ক থাকলেও সেটি ঝুলছে থুতনিতে। সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ জারির পরও যেন তাদের কোনো ধরনের ভীতি নেই। এমন মহামারিকালে নিশ্চিন্তে ঈদের কেনাকাটা করছেন নারী-পুরুষসহ সব শ্রেণির মানুষ। শহরের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা কেনাকাটা করছেন নিউমার্কেট ও রঘুনাথবাজারের অভিজাত দোকান ও বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের শো-রুমগুলোতে। আর নিম্নবিত্তরা কেনাকাটা করছেন শহরের অলিগলির দোকান ও ফুটপাতে। সব জায়গাতেই ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। তৈরি পোশাক, জামা ও শাড়ির দোকান, জুতার দোকানসহ কসমেটিকসের দোকানগুলোতে যেন পা ফেলার জায়গা নেই।


এদিকে লকডাউনের মধ্যেও ঈদের কেনাকাটার ভিড়ের কারণে শহরের নিউমার্কেট, থানা মোড়, গোয়ালপট্টি, নয়আনীবাজার, খরমপুর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের প্রবেশমুখগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিক্সাসহ বড় যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপরও মানুষের তীব্র ভিড়ের কারণে কমছে না যানজট।
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গেলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাছাড়া ক্রেতাদের তো পোশাক দেখাতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। নিউমার্কেটের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী হাসিবুর রহমান জানান, মার্কেটে যে পরিমাণ জনসমাগম দেখা যাচ্ছে, সে হিসেবে বেচা-বিক্রি কম। তবে গত ঈদের চাইতে এবার বিক্রি ভালো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন বলেন, প্রত্যেক দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সেগুলো মেনে চলা উচিত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এরপরও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।