নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীতে দুর্ভোগে কৃষকসহ সহস্রাধিক পরিবার অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২১ স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে বৃষ্টি থামায় পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা কমলেও পানি নামার গতি বেশ ধীর হওয়ায় পানিবন্দি এলাকার কৃষকসহ প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের দুর্ভোগ বেড়েছে। গত বুধবার পর্যন্ত ৩ দিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব এলাকার অধিবাসীরা। সেইসাথে দুই উপজেলায় বীজতলা, সবজি ও মাছের ঘেরের বেশ ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ২ জুলাই শুক্রবার পর্যন্ত ৩ দিন ধরে ওইসব এলাকার লোকজন সংকটের মধ্যে থাকলেও সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে তেমন কোন ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাদের পাশে দাঁড়াননি। সবাই কেবল পানি নেমে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। এদিকে পাহাড়ি ঢলে নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের পিছলাকুড়ি-তারাকান্দা সড়ক হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। ঢলের তোড়ে ওই সড়কের পিছলাকুড়ি অংশে একপাশের প্রায় অর্ধেকটা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। এতে ওই এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, পাহাড়ী ঢলে প্রায় ৩০ হেক্টর জমির বীজতলা ও ১০ হেক্টর জমির সবজি পানিতে নিমজ্জিত আছে। দু’একদিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে ফসলের কোন ক্ষতি হবে না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সিরাজুস সালেহীন বলেন, প্রাথমিক হিসাবে ঢলের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১৫ হেক্টর জমির ৭৫টি পুকুরের ৯ দশমিক ২ মেট্রিক টন মাছ ও ১০ লাখ পোনা মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ২১ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণের কাজ চলমান আছে, ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তালিকা করতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। তিনি কিছু জিআর-এর চাল দিতে রাজি হয়েছেন। সেটা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে। এদিকে সরকারি হিসেবে পাহাড়ি ঢলে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৯২৫ জন মৎস্যচাষীর ১ হাজার ১১৫টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৩০০ হেক্টর জমির আউশ ধান ও ১০০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা তলিয়ে গেছে। ভোগাই নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ৫টি পয়েন্ট ভেঙ্গে প্রায় ৭ কি.মি. বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়রা আতংকে আছেন আবারও বৃষ্টি হলে উজানের ঢল আসলে বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে ঢল তেড়ে আসতে পারে। তারা ভোগাই পাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোকছেদুর রহমান লেবু জানান, আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নদীর বাঁধ মেরামতের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ক্ষতির তালিকা করে আমরা উপরে পাঠাচ্ছি। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। Related posts:শেরপুরে উদীচীর ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিতশেরপুরের পুলিশ সুপারকে সিআইডিতে বদলি, নতুন পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেননকলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Post Views: ১৯৭ SHARES শেরপুর বিষয়: