লকডাউনে শেরপুরে ঘরবন্দি শহরবাসী, তবে গ্রামের চিত্র উল্টো

প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অপ্রয়োজনে বাহিরে আসলেই গুনতে হয় জরিমানা। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় শহরের মানুষ ঘরে থাকলেও পুরো উল্টো চিত্র শেরপুরের গ্রামগুলোতে। গ্রামের মানুষকে ঘরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সংক্রমণ ও মৃতের আশি শতাংশই শহরে। তাই লকডাউনের এ সময়ে মানুষকে ঘরে রাখতে কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসন। জেলার পাঁচ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল।
জেলা শহরের বাইরে গ্রামে এখনো উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক নেই বেশিরভাগ মানুষের মুখে। দোকান খোলা রাখার পাশাপাশি জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন অনেকে। শুধু গ্রাম নয় জেলা সদরের বাইরে শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলাতেও তেমন স্বাস্থ্যবিধি চোখে পড়েনি গত ছয়দিনে। লকডাউন নির্দেশনার প্রথম দিনে কিছুটা কঠোরতা থাকলেও বাকি পাঁচদিনে তেমন কঠোরতা দেখা যায়নি প্রশাসনের।
জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সাময়িক প্রচারণা থাকলেও লকডাউন মানাতে বা মানুষকে ঘরে ফেরাতে তেমন কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি গ্রামগুলোতে।

গ্রামের এক চায়ের দোকানদার বলেন,বাজারে ম্যালা দুহান খুলা থাহে। তাই আমরাও খুলা রাখছি। গ্রামের দিকে করোনা নাই। আমরা গরীব মানুষরে করোনা ধরবো না।
শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ বলেন, শেরপুরের এ ভয়াবহ অবস্থায় সবার সচেতন হওয়া ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। সবাইকে সচেতন হতে হবে। নিজেদের প্রয়োজনেই ঘরে থাকতে হবে। নতুবা আমাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে।
শেরপুরের পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, শহরে সংক্রমণের আধিক্যের কারণে শহরে বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের নিয়েও আমরা সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ১৬ টিম পুরো জেলায় কাজ করছে। এর বাইরে আমরা জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়েও পুরো জেলায় কাজ করে যাচ্ছি।