তালেবানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী চীন

প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : দুই দশকের সহিংস লড়াইয়ের পর আফগানিস্তানে ফের ফিরেছে কট্টরপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের নিয়ন্ত্রণ। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনে ২০০১ সালে ক্ষমতা হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া তালেবান রোববার বিনা রক্তপাতে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পুরো আফগানিস্তান এখন তাদের দখলে। কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে তারা।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশ আফগানিস্তান থেকে তাদের লোকদের সরিয়ে নিচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে ভিন্ন ইঙ্গিত দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। কাবুলে থাকা দূতাবাস তারা বন্ধ করছে না। তালেবানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার ঘোষণাও দিয়েছে চীন। খবর এএফপির
চীন সোমবার বলেছে, তারা তালেবানের সাথে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ গড়তে আগ্রহী। কট্টরপন্থী এ গ্রুপ আফগানিস্তান দখল করে নেয়ার পর বেইজিং এমন আগ্রহ প্রকাশ করল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং সাংবাদিকদের বলেন, নিজেদের ভবিষ্যত স্বাধীনভাবে নির্ধারণে আফগান জনগণের অধিকারের প্রতি চীন শ্রদ্ধাশীল এবং বেইজিং আফগানিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্কোন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
গত জুলাইয়ে চীন সফর করে তালেবানের প্রতিনিধিরা। সে সময় তারা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে সাক্ষাত করে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেনা প্রত্যাহার করতে আফগান তালেবানের সঙ্গে চুক্তি সই হয় ওই সময়।
তবে জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার পুরোপুরি শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করেন। সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতেই তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে।