নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলো পাকিস্তানের

প্রকাশিত: ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানে কাছে ৫ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড। দীর্ঘ ১৮ বছর পর পাকিস্তান সফরে নিরাপত্তা ইস্যুতে খেলা মাঠে গড়ানোর ঠিক আগ মুহূর্তে সিরিজ বাতিল করে দেয় নিউজিল্যান্ড। তাদের দেখাদেখি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ মুখ ফিরিয়ে নেয় পাকিস্তান থেকে।

সেই অপমানের জবাবটা যে এত দ্রুত তারা পাবে সেটি হয়তো ধারণায় ছিল না ব্ল্যাকক্যাপদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানে কাছে ৫ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড।
শারজাতে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। কেইন উইলিয়ানসনদের নাগালে পেয়ে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেণ হারিস রাউফ-শাহিন আফ্রিদিরা।
ম্যাচের শুরু থেকে পাক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বস্তিতে খেলতে পারছিলেন না ব্ল্যাকক্যাপস ব্যাটাররা। চাপে থাকা নিউজিল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন হারিস রাউফ।
হারিসের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি ওপেনার মার্টিন গাপটিলের পায়ে লেগে আঘাত হানে স্টাম্পে। পতন হয় নিউজিল্যান্ডের প্রথম উইকেটের।
এরপর দ্রুত রান নেয়ার লক্ষ্যে থাকা ড্যারিল মিচেলকে ২৭ রানে আউট করেন ইমাদ ওয়াসিম। পরের ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ হাফিজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফখর জামানের হাতে ধরা পড়েন জেমস নিশ্যাম। তার ব্যাট থেকে আসে এক রান।
৫৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা নিউজিল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে আসেন কেইন উইলিয়ামসন। ডেভন কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়ে সামাল দেন পরিস্থিতি।
বেশিক্ষণ দলকে টেনে নিতে পারেননি ব্ল্যাকক্যাপদের অধিনায়ক। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হাসান আলির থ্রোতে ২৫ রানে রানআউট হন তিনি।
এরপর কিছুটা সময় কিউইরা ভরসা খুঁজে পায় কনওয়ে আর গ্লেন ফিলিপসের ব্যাটে। সেই জুটি টেকেনি হারিসের কারণে ।
ম্যাচের ১৮ তম ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান রাউফ। ওভারের তৃতীয় বলে বাবর আজমের তালুবন্দি হয়ে কনওয়ে ফেরেন ২৪ বলে ২৭ করে।
আর শেষ বলে হাসান আলির হাতে ধরা দিয়ে ১৫ বলে ১৩ রান করে পথ ধরেন ফিলিপস। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটের খরচায় ১৩৪ রানে থেমে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
পাকিস্তানের হয়ে ২২ রানের খরচায় চার উইকেট নেন হারিস রাউফ। পাশাপাশি হাফিজ, শাহিন আফ্রিদি ও ইমাদ ওয়াসিম নেন একটি করে উইকেট।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। সাউদি-বোল্টদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটের খরচায় ৩০ রান তোলে তারা।
ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো বাবর আজমকে ফিরতে হয় দুই অঙ্কের রান ছোঁয়ার আগে। সাউদির বলে ৯ রান করে বোল্ড হন পাকিস্তান অধিনায়ক। আজমকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মালিক বনে যান অভিজ্ঞ এই পেইসার।
দলীয় ৪৭ রানে ইস সোধির স্পিনে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ফখর জামান। তার ব্যাট থেকে আসে ১১। একই রানে আউট হন হাফিজও।
অন্যপ্রান্তে দারুণ খেলতে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ৩৩ রানে থামিয়ে দেন সোধি। ৮৭ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
সে অবস্থা থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাবার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শোয়েব মালিক ও আসিফ আলি। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে ৫ উইকেট ও ৮ বল অক্ষত রেখে চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় জয় বাগিয়ে নেয় পাকিস্তান।
মালিক ২৬ ও আসিফ ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুটি উইকেট নেন সোধি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন স্যান্টনার, সাউদি ও বোল্ট।