সিপাহী বিপ্লবের নামে জিয়া মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা করেছে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২১ তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির অভ্যুদয়। পচাত্তরের আজকের এদিনেই জিয়াউর রহমান বহু সৈনিক ও অফিসারের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। এই দিনে সিপাহী বিপ্লবের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারসহ বহু সৈনিক ও অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, সিপাহী বিপ্লবের নামে সেদিন জিয়া মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা করে একটি রক্তাক্ত ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে। ৭ নভেম্বর রবিবার ‘মুজিববাদ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য এই স্লোগান’এ অনুষ্ঠিত রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডা. মুরাদ হাসান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৃশংসভাবে সপরিবারে নিহত হওয়ার পরে খুনি মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। খুনি মোশতাকের নেপথ্যে ছিল ১৫ আগস্টের মূল খুনিরা। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশারফ মোশতাকের রাষ্ট্রপতি হওয়া মেনে নিতে পারেন নাই। তিনি তাঁর অনুগতদের নিয়ে ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটান এবং মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করেন। বন্দিদশায় জিয়া ফোন করে কর্নেল তাহেরকে বলেন ‘সেভ মাই লাইফ’। সে দিন কর্নেল তাহের জিয়াকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন। বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে খালেদ মোশারফকে ওই দিনই হত্যা করে জিয়া। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের কারিগর ছিলেন কর্নেল তাহের। এই বিপ্লবের ফলে ক্ষমতায় বসে খুনি জিয়াউর রহমান। জিয়া শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করাই নয়, সেই ক্ষমতা নিষ্কণ্টক রাখতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অফিসার হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছিলেন। জিয়া পরিবার দেশকে ধ্বংস করেছে উল্লেখ করে ডা. মুরাদ বলেন, খালেদা জিয়া এবং সাজাপ্রাপ্ত তার পুত্র তারেক এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছে। তারেক লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার পরিকল্পনাকারী তারেক ও বিএনপির নেতারা। তারেক গংরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া। এই তারেক গংদের বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে হবে। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা হতে জিয়ার সমাধি অপসারণ করা হবে। খুনি জিয়ার নামে বাংলাদেশে কোনো স্মৃতি চিহ্ন থাকতে পারে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে । বর্তমানে দেশে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার বা ২৯ হাজার ৪৩০ টাকা। বাহাত্তরের সংবিধান সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতেই হবে এর বাহিরে বাংলাদেশ চলতে পারে না। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সম্প্রতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন মাহতাব স্বপ্নিল, ভাস্কর শিল্পী রাশা। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। Related posts:২৫ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী যারাপ্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন: তথ্য প্রতিমন্ত্রীছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন, যোগ দেবেন শেখ হাসিনা Post Views: ১৮৮ SHARES রাজনীতি বিষয়: