শেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর ১৬৯ গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর

প্রকাশিত: ৩:১৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২২

শেরপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ১৬৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলার ৫০ জন উপকারভোগীর মাঝে ঘরের চাবি, জমির দলিল ও কবুলিয়ত হস্তান্তর করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী, পৌর মেয়র, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ছামিউল হক, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেন, চরমোচারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম সাব্বির আহমেদ খোকন, প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, উপকারভোগী বিলকিছ বেগম ও আব্দুল জলিল প্রমুখ।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মিজান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তনিমা আফ্রাদ, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন রহমান অমিসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, উপকারভোগী ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলায় মোট ১ হাজার ১১৮ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২৯১টি পরিবার ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬৭টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে। এবার তৃতীয় পর্যায়ে ৩৩৯টি ঘরের মধ্যে প্রথম ধাপে ১৬৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে শেরপুর সদরে ৫০টি, নালিতাবাড়ীতে ৫০টি, নকলায় ৩০টি, শ্রীবরদীতে ২৫টি ও ঝিনাইগাতীতে ১৪টি ঘর রয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে জেলায় ওইসব ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ কোটি ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।