নকলায় শ্রেণিকক্ষ সংকটে বারান্দায় চলছে পাঠদান

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২২

শেরপুরের নকলায় পৌরশহরের গড়েরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে পাঠদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কক্ষ সংকট থাকায় পাঠদান করানো হচ্ছে বিদ্যালয়ের বারান্দায়। এতে সমস্যায় পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, গড়েরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এর আগে কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। ছিল ২ কক্ষের একটি পাকা দালান। পরে ২০১৩ সালে সরকার এটিকে জাতীয়করণ করার পর ২০১২-১৩ অর্থবছরে আরও দুই কক্ষের আরেকটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং পাঠদানে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় গত তিন বছর আগেই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তখন থেকেই শুরু হয় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ, ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েন শিক্ষকেরা। বাধ্য হয়েই পাঠদান করতে হচ্ছে বারান্দায় বসিয়ে। দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নেই কোনো সাড়া।
কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বারান্দায় ক্লাস করার সময় বাইরে মানুষের হাঁটাহাটিতে তাদের একদিকে যেমন মনোযোগে বিঘ্ন ঘটছে অন্যদিকে ধুলাবালিতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
তারা বলে, আমাদের স্কুলে রুম নাই। তাই কষ্ট করে বারান্দায় বসে ক্লাস করান স্যার-ম্যাডামরা। বৃষ্টি এলে আমাদের বই-খাতা ভিজে যায়। শীতের সময় আমাদের কষ্ট করতে হয়। স্কুলের পাশে রাস্তা থাকায় গাড়ির শব্দে আমাদের বিরক্ত লাগে।
স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল জানান, বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর থেকে দুই কক্ষের নতুন ভবনে পাঠদান চলছে। ভবনের সিঁড়িতে চলে অফিশিয়াল কাজকর্ম। প্রথম শিফটে চলে প্রাক প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদান। দ্বিতীয় শিফটে পাঠদান চলে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির। কিন্তু শ্রেণিকক্ষের সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ২ শিফটেই আমাদের বিদ্যালয়ের বারান্দায় পাঠদান করতে হচ্ছে। রাস্তার পাশে স্কুলটি হওয়ায় এতে শব্দদূষণ ও প্রচণ্ড রোদে শিক্ষার্থীদের বেশ কষ্ট হয়। এ ছাড়া ঝড়বৃষ্টির সময় পাঠদান ব্যাহত হয়। বিষয়টি একাধিকবার বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।