ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত ইজিবাইক চালক উজ্জলের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সাবেক এমপি শ্যামলী

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২৩

শেরপুরে ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক উজ্জল মিয়ার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সাবেক এমপি, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি, আদরজান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, সাপ্তাহিক শ্যামলী শেরপুর ও শ্যামলীনিউজ২৪ডটকমের সম্পাদক-প্রকাশক এ্যাডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী।

৮ মে সোমবার রাতে সদর উপজেলার খুনুয়া চরপাড়া এলাকার নিহত উজ্জলের বাড়ীতে গিয়ে তার বড় দুই মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন এবং বড় মেয়ে সেলাই মেশিন চালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থাকায় ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাকে একটি সেলাই মেশিন ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন সাবেক এমপি শ্যামলী। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য সকল প্রকার আইনী সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ওইসময় নিহত উজ্জলের সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাত কন্যাকে কোলে নিয়ে কিছুখন নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সাবেক এমপি শ্যামলী। সাবেক এমপির সহায়তা পেলে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন নিহত উজ্জলের অসহায় পরিবার। ওইসময় তারা সাবেক এমপি শ্যামলীকে কৃতজ্ঞতা জানান।
জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল শেরপুর সদর উপজেলার খুনুয়া চরপাড়া এলাকার মৃত নুর ইসলাম ওরফে হলু শেখের ছেলে ও ৬ সন্তানের জনক মো. উজ্জল মিয়া (৪২) তার ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ায় যাত্রীবহনে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন ২৯ এপ্রিল সকালে পার্শ্ববর্তী খুনুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেতে থেকে উজ্জল মিয়ার লাশ পাওয়া যায় এবং ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খুনুয়া চরপাড়া এলাকার নিহত উজ্জলের ৬ মেয়ে, এক ছেলে, স্ত্রী ও বৃদ্ধ মাসহ ৯ সদস্যের অসহায়ত্বের খবর শুনে তার বাড়িতে ছুটে যান শেরপুরের সাবেক এমপি ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী। শুনেন অসহায় এ পরিবারের দু:খ আর বেদনার কথা। পরিবারের উপার্জনের একমাত্র অভিভাবককে হারিয়ে দিশেহারা উজ্জলের পরিবারকে নানা ভাবে শান্তনা দেন সাবেক এমপি শ্যামলী।


ইজিবাইক চালক উজ্জল মিয়াকে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল আসামিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন কমিশনার আনিসুর রহমান (বিপিএম বার, পিপিএম বারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসা র‌্যাব-১৪’র কমান্ডার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মহিবুল ইসলাম খান ও অভিযান পরিচালনাকারী র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে উজ্জল হত্যাকান্ডের ঘটনার মূল আসামিসহ ৫জনকে গ্রেফতার করায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী।
ওইসময় শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন, প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক জুবাইদুল ইসলাম, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা রহমান শিমু, আওয়ামী লীগ নেত্রী রোজিনা তাসমিন, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার শিখা, শহর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সেতারা পারভীন পরশ, সাধারণ সম্পাদক সাবিকুন নাহার বন্যা, জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী লতিফা আক্তার লাকী, পূজা পাল, মুক্তি বিশ্বাস, নাহিদ রহমান জুলি, বৃষ্টি সাহা, সুমি বিশ্বাস, রিক্তা খাতুনসহ জেলা, উপজেলা ও শহর যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি শ্যামলীর প্রতিষ্ঠিত আদরজান ফাউন্ডেশনের শীর্ষ কর্মকর্তা মো: উমর ফারুক জানান, সাবেক এমপি শ্যামলী আপু আমাদের শেরপুর সদর উপজেলার মানবতার এক অনন্য ফেরিওয়ালা। যেখানেই অসহায় মানুষের আর্তনাত সেখানেই শ্যামলী আপু নিজে গিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়, ইজিবাইক চালক উজ্জল মিয়ার পরিবারের অসহায়ত্বের খবর পেয়ে নিজে ছুটে যান সহায়তা নিয়ে। নিহত উজ্জরের বড় দুই মেয়ের লেখাপড়ার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন আমাদের মানবতার ফেরিওয়ালা শ্যামলী আপু। শুধু সহায়তাই নয়, উজ্জলের পরিবারকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে সকল প্রকার আইনী সহায়তাও করবেন তিনি। উমর ফারুক আরও বলেন, শেরপুর সদর উপজেলার অসহায় মানুষের জন্য সাবেক এমপি শ্যামলী আপুর পক্ষ থেকে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।