বিএনপি মজুতদারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে: ওবায়দুল কাদের অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪ বিএনপি দ্রব্যমূল্যে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে সিন্ডিকেট ও মজুতদারদের পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি সিন্ডিকেট লালন পালন, মজুতদারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে- এ কথা বললে কি ভুল হবে? ভুল হবে না। কারণ, যারা এ কাজ করছে, তারা বিএনপির পুরোনো সিন্ডিকেট। ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ছিল ব্যবসায়ী সরকার। আওয়ামী লীগ ব্যবসা করতে আসেনি। এখানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে- এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই। বিভিন্নভাবে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে যে অশুভ চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জন অসন্তোষের কারণ সৃষ্টি করছে। তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জোরালোভাবে সেটি বলেছেন। ওবায়দুল কাদের, বিদ্যুতে যথেষ্ট ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। এই ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমাতে চাই। সে কারণে সমন্বয় করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা যদি বজায় রাখতে চাই, তাহলে সমন্বয়টা আমাদের করতে হবে। ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দিনে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল। বিদ্যুতের দাম পাঁচ বছরে তারা ৯ বার বাড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার সাতশ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এবং এই আন্দোলনে সরকারের পতন অবশ্যই হবে- এক বিএনপি নেতার এমন মন্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে একটা নির্বাচন হয়ে গেল। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের মহড়া দিয়েছে। আগুন সন্ত্রাস করেছে। আন্দোলনের নামে কত ভয়ঙ্কর ভূমিকায় বিএনপি হতে পারে; সেটা তারা করে দেখিয়েছে বারে বারে। জনগণের সম্পৃক্ত ছিল না বলে অতীতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভুল ও নেতিবাচক রাজনীতি করে যাচ্ছে বিএনপি। তারা একসময় নিশ্চয়ই স্বীকার করবে আন্দোলনে তাদের ভুল আছে। নির্বাচনে না আসাটা বিএনপির সবচেয়ে বড় ভুল। এখন তারা উপলব্ধি করবে। বর্তমানে অর্থনীতির সংকট আছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এজন্য আমরা দায়ী নই। বিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ যেভাবে প্রসারিত হচ্ছে, তাতে অর্থনীতির উপর প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, তার আলোকে সবাই কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এক মন্ত্রীর বিপুল অর্থ-সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। তিনি মন্ত্রী হন আর যেই হোন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার নির্বাচনে যত বেশি-বিদেশি খেলা হয়েছে তখনো ভারত আমাদের পাশে ছিল। এখানে শেখ হাসিনাকে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন কেন আসবে? বন্ধু বন্ধুর মত থাকবে। সহযোগিতার অর্থ নিয়ন্ত্রণ নয়। পারস্পরিক সহযোগিতা, সমন্বয় এখন খুবই জরুরি। ‘ডিপ্লোমেসি উইথ কমনসেন্স’ খুবই জরুরি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। Related posts:এখন একটাই কাজ, তারেক জিয়াকে দেশে এনে সাজা বাস্তবায়ন: প্রধানমন্ত্রী৩০০ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন যারাবিএনপি করোনার চেয়েও ভয়াবহ ভাইরাসে আক্রান্ত : সেতুমন্ত্রী Post Views: ১৬২ SHARES রাজনীতি বিষয়: