তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশিত: ১:৩০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তীব্র ও ঘন কুয়াশার কারণে শেরপুরের বিভিন্ন স্থানে বোরো ধান চাষের জন্য কৃষকদের তৈরি করা বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাড়তি টাকা খরচ করে চারা কিনে ধান চাষ করতে হবে বলে জানান কৃষকরা।
শেরপুরের কৃষকরা কোনো না কোনো জাতের ধান চাষ করে থাকেন। আর তার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আগেই ওই ধানের চারার বীজতলা তৈরি করেন। বোরো ধান চাষের জন্য শীতের শুরু ডিস্বেবর মাসের প্রথম দিকে চাষিরা বীজতলা তৈরি শুরু করেন। কিন্তু এ বছর শুরু থেকে শীতের তীব্রতা ও কুয়াশায় বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে পরে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কৃষকদের বাড়তি টাকা খরচ করে চারা কিনে ধান চাষ করতে হবে। বীজতলা তৈরির জন্য বীজ কেনা থেকে শুরু করে অনেক খরচ। তারপর আবার বার যদি চারা কিনে চাষ করতে হয়, তাহলে কৃষকদের খরচ বেড়ে যাবে কয়েকগুন।


কৃষকরা জানান, ইতোমধ্যে তারা বোরো ধান চাষ করার জন্য বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তাদের বীজতলা ভালো হয়নি। অনেকেই জানেন না কি কারণে তাদের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। এতে করে তারা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন। অনেক চাষি একাধিকবার বীজতলা করলেও ভালো চারা জন্মেনি। কিন্তু এখন আর বীজতলা তৈরির সুযোগ নাই। এখন বাজার থেকে বেশি দামে বোরো ধানের চারা কিনে চাষ করতে হবে। এতে তাদের খরচ বেড়ে যাবে দ্বিগুনেরও বেশি।
সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া জানান, তিনি আধাবিঘা জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু তীব্র শীত ও কুয়াশায় এবার বীজতলা ভালো হয়নি। ৩৬০ টাকা কেজি দরে বীজ কিনে নিজের জমিতে ধান চাষের জন্য তিনি হাইব্রিড বীজতলা করেছিলেন। বীজতলায় যে চারা হয়েছে তাতে চারা কিনে ধান লাগাতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুরের উপ-পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন শ্যামলী নিউজ ২৪ ডটকমকে বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ৯১ হাজার ৭৭৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তীব্র শীত ও কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের দিনের বেলা বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা এবং ১ থেকে ২ ইঞ্চি পানি দিয়ে বিকেল থেকে পুরো রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পানি বের করে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষকদের পাশাপাশি ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। যেসব স্থানে বীজতলায় সমস্যা দেখা দিয়েছে সেসব স্থানে কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।