ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ফ্রান্স ও ইতালি, চরম সঙ্কটে ব্রাজিল

প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : ক্রমশ ঘর ছেড়ে বের হচ্ছে ইউরোপ। সপ্তাহ বাদে ফ্রান্সের বেশ কিছু সমুদ্র সৈকতে পা পড়েছে মানুষের। ব্রিটেন সরকার অবশ্য দেশবাসীকে অনুরোধ করেছে, খুব বেশি ঘুরতে-বেড়াতে না-যেতে। দু’মাস পরে জার্মানিতে ফুটবল সিজন।

জানানো হয়েছে, ছ’টি ম্যাচ রুদ্ধদ্বার হবে। ৩ জুন থেকে ইতালিও দেশের মধ্যে বা পড়শি দেশে সফরে কড়াকড়ি কমাবে। করোনায় তিন লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর পরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় গোটা বিশ্ব।

এর মধ্যেই ব্রিটেনে আজ নতুন করে সংক্রমিত সাড়ে তিন হাজার জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত দু’শোর বেশি। মৃত্যু-সংখ্যায় এখন আমেরিকার পরেই ব্রিটেন, ৩৪,৪৬৬। আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ৮৯ হাজারের কাছাকাছি। সবার আগে দরজা খুলেছিল স্পেন। লকডাউন শিথিল করেছিল অনেকটাই।

কিন্তু স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যাঞ্চেজ় আজ জানান, তিনি পার্লামেন্টে কথা বলে দেখবেন, যদি লকডাউন আর এক মাস বাড়ানো যায়। কিন্তু লকডাউন তুলে দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ চলছেই। সেভিলে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর জন্য ১০০ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

লকডাউনের বিরোধীতা করে বিক্ষোভ চলছে জার্মানিতেও। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু সব চেয়ে কম। বেশকিছু এলাকায় তাই লকডাউন শিথিল করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল কিছু কড়াকড়ি বজায় রেখেছেন। তাতে চটেছে দেশবাসীর একাংশ। গত দু’সপ্তাহ ধরে, শনি-রবি রাস্তায় নেমে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন লোকজন।

বিক্ষোভকারীরা পারস্পরিক দূরত্ববিধিও মানছেন না। মাস্ক পরতে দেখা যায়নি অনেককেই। হাঙ্গেরিতেও ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে দেয়া হচ্ছে। সোমবার থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে বুদাপেস্ট। তার দু’সপ্তাহ পরে গোটা দেশেই তুলে দেয়া হবে লকডাউন।

সৌদি আরবে আবার নতুন করে সংক্রমণের ঝড়। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৮৪০ জন। এর জেরে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল। রাশিয়ার পরিস্থিতি একই। এক দিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৯২০০ জন। মোট আক্রান্ত প্রায় তিন লাখ।

কালই ব্রাজিল ঘোষণা করেছিল, সে দেশে মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এর পরের ২৪ ঘণ্টায় আরও হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমিত ২ লাখ ২৩ হাজার। আজ হঠাৎই হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে পদত্যাগ করেছেন ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেলসন টেক।

এক মাসও হয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন নেলসন। তার আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন লুইজ ম্যানডেট্টা। প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো তাকে বরখাস্ত করেন দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে। পরপর দু’জন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে খুইয়ে অতিমারি-পরিস্থিতিতে আরওই বিপাকে পড়েছে ব্রাজিল।