শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবীসহ ৩ যুবককে কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১:১৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ১০, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুর জেলা শহরের চাঁপাতলী পাগলবাড়ী মহল্লায় ৯ জুন মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এক যৌথ মাদক বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন। এসময় মাদক বিক্রেতা পারভেজ আহম্মেদ ওরফে পাভেল (২৬), মাদক বিক্রেতার সহযোগি মোঃ হারুন ওরফে মিসকিন (২৫) ও মাদকসেবী ফকির হোসেন (৩০) কে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দোষী সাবস্থ্য করে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং সেই সাথে অর্থদণ্ড করেছেন।

জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব এর নির্দেশনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকলিমা আক্তার, সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামারা তাসবিহা, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মশিহুর রহমান সোহেল ও পরিদর্শক মাসুদুর রহমান, এনামুল হক, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর পৌরসভার চাঁপাতলী পাগলবাড়ী মহল্লায় এক মাদক বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালায়। এসময় মাদক বিক্রেতা পারভেজ আহম্মেদ ওরফে পাভেলকে ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) ২১ ধারায় দোষী সাবস্থ্য করে ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১০ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেন। মাদক বিক্রেতার সহযোগি মোঃ হারুন ওরফে মিসকিনের কাছ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৭ পুড়িয়া গাঁজা উদ্ধার করে। পরে তাকে একই ধারায় তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এছাড়াও মাদকসেবী ফকির হোসেন মাদক সেবনের দোষ স্বীকার করায় তাকে ৪ মাসের কারাদণ্ড এবং সেই সাথে ৫শত টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

এদিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মশিহুর রহমান সোহেল  জানান দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মাদক বিক্রেতা পারভেজ আহম্মেদ ওরফে পাভেল এর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তদের শেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছেন।