চীন সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেল ভারতীয় সেনাবাহিনী অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২০ অনলাইন ডেস্ক : প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চীনের সেনা মুখোমুখি হলেও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার নীতি এত দিন মেনে চলেছে ভারত। কিন্তু লাদাখের গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরেই এই নীতি বদলের প্রয়োজন নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে। ভারত এবার বদলে ফেলল ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’। নতুন নিয়মে চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনও বারণ থাকবে না সেনাবাহিনীর উপরে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার এই নীতির পরিবর্তন আনে। গালওয়ানে সংঘাতের পরে কেটে গেছে ছ’দিন। এখনও গালওয়ানে ভারতীয় ভূখণ্ডের একাংশ দখল করে বসে রয়েছে চীনা সেনারা। নিজেদের অবস্থান থেকে সরার কোনও লক্ষণও দেখায়নি তারা। এই পরিস্থিতিতে নজরদারি বাড়াচ্ছে ভারত। পাশাপাশি লাদাখ অঞ্চলে কমব্যাট পেট্রল চালু করেছে দেশটির বিমান বাহিনী। সেই সঙ্গে চীনা হামলার আশঙ্কায় সেনা মোতায়েন করা শুরু হয়েছে দারবুক-দৌলতবেগ ওল্ডি (ডিবিও) সড়ক নির্মাণের কাজে। গালওয়ানের ঘটনার পরে ডিবিও সড়ক নির্মাণের কাজে পাহারা দেওয়ার জন্য আরও বেশি সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নর্দার্ন কম্যান্ডের এক পদস্থ সেনা অফিসারের মতে, ওই রাস্তা তৈরি হলে কারাকোরাম পর্যন্ত পৌঁছে যাবে ভারতীয় সেনা। ওই এলাকা চীন-পাকিস্তান আর্থিক করিডরের খুব কাছে। ফলে ওই রাস্তা নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি রয়েছে চীনের। ওই সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করার জন্য ফের হামলা চালাতে পারে তাদের সেনা। ২০১৩ সালে এই সড়ক লাগোয়া দেসপাং এলাকায় চীনা সেনা ঢুকে তিন সপ্তাহ বসে ছিল। ওই সড়ক প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর। ওই সব এলাকায় এক বার চীনা সেনা ঢুকে পড়লে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের সরানো কঠিন হয়ে পড়বে। আটকে যাবে সড়ক নির্মাণের কাজও। তাই ডিবিও সড়কের স্পর্শকাতর এলাকাজুড়ে সেনা মোতায়েন শুরু হয়েছে। বর্তমানে গালওয়ান উপত্যকায় অন্তত ২৩টি স্থানে নজরদারির জন্য কাঠামো গড়ে তুলেছে চীন সেনা। Related posts:পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মারা গেছেনএবার গাজার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপানের প্রধানমন্ত্রীরব্যারিকেড ভেঙে ইসলামবাদে ঢুকে পড়েছে ইমরান খানের সমর্থকেরা, ব্যাপক সংঘর্ষ Post Views: ৩০৬ SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: