শেরপুরে বজ্রপাতে নিহত ৩ পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসকের অর্থ সহায়তা প্রদান

প্রকাশিত: ১০:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২০

আছাদুজ্জামান মোরাদ ॥ শেরপুর জেলা শহরের পৌরসভার কসবা গারোটিলা ও সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের তারাগড় গাংপাড় এবং ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা গ্রামে বজ্রপাতে নিহত তিন পরিবারের মাঝে ১৫ জুলাই বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অর্থ সহায়তা ও খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব এর সভাপতিত্বে বজ্রপাতে নিহত পরিবারের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার দুপুরে মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
শেরপুর পৌরসভার গারোটিলা মহল্লায় ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের তারাগড় গাংপাড় এবং ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা গ্রামে বজ্রপাতে কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়। এদের মধ্যে ২৬ জুন দুপুরে শেরপুর পৌরসভার কসবা গারোটিলা মহল্লার বাসিন্দা ট্রলি চালক হীরা বজ্রপাতে মারা যায় এবং ১৩ জুলাই সোমবার দুপুরে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের তারাগড় গাংপাড় গ্রামের গৃহিনী রহিমা বেগম বজ্রপাতে মারা যায়। এছাড়াও একই দিন ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা গ্রামে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে ফুটবল খোলার সময় শেরপুর বিজ্ঞান কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী নবীন মিয়া বজ্রপাতে মারা যায়। তিন পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বুধবার দুপুরে তার কার্যালয়ে নিহতদের পরিবারের মাঝে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং প্রত্যেক পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।
এসময় নিহত হীরার স্ত্রী সোনিয়া বেগম, রহিমা বেগমের ছেলে গ্রাম পুলিশ লুট মিয়া এবং নিহত কলেজ শিক্ষার্থী নবীন মিয়ার বাবা সোহেল মিয়া জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব এর হাত থেকে এসব অনুদানের টাকা গ্রহণ করেন তারা।
অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওয়ালীউল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফায়েল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নমিতা দে, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা এইচএম আব্দুর রউফ, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ খবিরুজ্জামান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।