শেরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট ॥ আহত ১০

প্রকাশিত: ৬:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটসহ অন্ততঃ ১০ জন আহত হয়েছে। ১৯ অক্টোবর সোমবার রাতে শহরের দিঘারপাড় এলাকার তালুকদার বাড়িতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ওইসময় হামলাকারীরা বাড়িঘর কুপিয়ে ভাঙচুর ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ব্যাটারিসহ ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জন গুরুতর অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরা হচ্ছে স্থানীয় মোশারফ হোসেনের স্ত্রী আবেদা বেগম (৩০), মৃত মালু তালুকদারের ছেলে আরিফ তালুকদার (৩৫), মৃত সাহা আলীর ছেলে সুজন মিয়া (২৮) ও মমতাজ আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (৩০)।
জানা যায়, শেরপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে টানা দুই দফায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন আমির হোসাইন বাদশা তালুকদার। তার সাথে গত নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়াই করে হেরে যান আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফখরুল ইসলাম। এবারও নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় কাউন্সিলর প্রার্থী ফখরুল ইসলাম তফসিল ঘোষণা আগে থেকেই প্রচারণা চালানোসহ বাদশা তালুকদারের সমর্থকদের তার দলে ভেড়াতে ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সোমবার দুপুরে ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে আলাল, দেলোয়ার, বাচ্চু মিয়া, নেলু মিয়া, আরশাদ আলীসহ একদল সন্ত্রাসী বাদশা তালুকদারের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। ওইসময় আবেদা বেগম, সুজন মিয়া, সোহেল মিয়াসহ অন্ততঃ ৬/৭ জন আহত হন। পরে রাতে আবারও হামলা চালিয়ে বাদশা তালুকদারের আত্মীয় বাবুল তালুকদার ও মোশারফ হোসেনের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ওইসময় আরিফ তালুকদারের হাতের ধারালো দায়ের কোপ লেগে রগ কেটে গুরুতর জখম হয়।
কাউন্সিলর আমির হোসাইন বাদশা তালুকদার জানান, ছোট একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার সমর্থক ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফখরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দিঘারপাড় এলাকায় ২ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলযোগ হয়েছে এবং ৩ জন আহত বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।