ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান ফর্সা ও ২ সদস্য স্থায়ী বরখাস্ত

প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভিজিডির চাল আত্মসাৎ, প্রকৃত কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ না করে টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছলদের মাঝে চাল বিতরণসহ কয়েকটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য খাইরুল এনাম চাঁন ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য রহিমা বেওয়াকে স্বীয় পদ থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই তথ্য জানানো হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম ওই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শিগগিরই ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ২ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করা হবে।
জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা ও ২ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসক্রমে ভিজিডির ১২৪টি কার্ডের বিপরীতে উত্তোলিত চাল দীর্ঘ ১৮ মাস যাবৎ আত্মসাৎ করার অভিযোগ এবং প্রকৃত কার্ডধারীদের মধ্যে ভিজিডির চাল বিতরণ না করে টাকার বিনিময়ে সচ্ছল ব্যক্তিদের ভিজিডি কার্ড প্রদানসহ অনৈতিকভাবে জি আর চাল বিতরণের কপিকে ভিজিডি কার্ড গ্রহণের রিসিভ কপি বলে ব্যবহারের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠে। ওইসব অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯-এর ৩৪(১) অনুযায়ী গত ৩১ সেপ্টেম্বর তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেইসাথে তাদের কেন চূড়ান্ত বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, সে মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তাদের কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯-এর ৩৪(৪) (ঘ) ধারা অনুযায়ী তাদের স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হল।