বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের সমূলে উৎপাটন করা হবে: কৃষিমন্ত্রী অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২০ অনলাইন ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের বাংলাদেশের মাটি থেকে সমূলে উৎপাটন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজাকার, আলবদর, পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীকে বাংলার মাটিতে পরাজিত করেছি; সেই পাকিস্তানিদের দোসররা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে বাংলার মাটিতে আর কোনদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। আমরা রাজাকার, আলবদর, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও ধর্মান্ধদের বাংলার মাটি থেকে উচ্ছেদ করব। বাংলার মাটি থেকে তাদের মূলোৎপাটন করব। এই বাংলার মাটিতে তাদের কোন ঠাঁই নেই; থাকতে পারে না। স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশদ্রোহী হিসাবে বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হবে। যুদ্ধাপরাধীদের যেভাবে বিচার হয়েছে তেমনিভাবে যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে তাদের বিচার এ দেশের মাটিতে হবে’। রোববার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) ও জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমভুক্ত (এনএআরএস) ১২টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসিসহ অন্যান্য সংস্থাও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। এ সময় কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারসহ সংস্থাপ্রধান ও সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। ড. রাজ্জাক বলেন, আজ যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত করেছে, ভাস্কর্য ভেঙেছে তারা সেটি সুপরিকল্পিতভাবেই করেছে। এই স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি দেশিয়-আন্তর্জাতিক ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ন্যায়-সমতার ভিত্তিতে একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়তে চেয়েছিলেন। ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন ও চেতনাকে চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। এই পরাজিত ধর্মান্ধগোষ্ঠী ১৯৭৫ এর পর থেকে ২১ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করা যাবে না। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে তাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো মোকাবেলা করে আবার পরাজিত করব। তাদেরকে আবার আমাদের পায়ের নিচে পড়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি আরও বলেন, ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়। ভাস্কর্যের একটা নান্দনিক দিক রয়েছে, এটি একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে করে তার আদর্শ ও চেতনাকে এ দেশের ভবিষ্যত বা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা যায়, জাগরূক রাখা যায়। ভাস্কর্য হচ্ছে স্মৃতিচিহ্ন বা স্মারক। এর মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে এবং মানবপ্রেমে ও মানবসেবায় ব্রতী হবে। Related posts:পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ: ভলকার তুর্কনারীর ক্ষমতায়নে মূল কান্ডারি শেখ হাসিনা : স্পিকারপুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী Post Views: ২৪৮ SHARES জাতীয় বিষয়: