দুর্নীতি করিনি, এখনও স্বচ্ছ আছি : কবিতা খানম অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:০৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১ অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিতর্কিত করতেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। তিনি বলেন, ‘আমাদের (নির্বাচন কমিশনার) নন, প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করতেই কেউ কেউ বিভিন্ন অভিযোগ করছেন।’ বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি দেশের বিশিষ্ট ৪২ নাগরিক নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতির কাছে দু’দফা চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থী ১০১ আইনজীবী নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণে পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে কবিতা খানম এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এখানে (ইসিতে) যারা দায়িত্বে আছি, প্রত্যেকেই ৩০-৩১ বছর বিভিন্ন দফতরে চাকরি করে এসেছি। আগের কর্মস্থলে যেভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এসেছি, এখানেও আমরা সেভাবেই স্বচ্ছ আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেউ-ই কিন্তু তখন জানতাম না যে, কমিশনার হিসেবে যোগ দেব। যারা জীবনে স্বচ্ছ থেকেছি, তারা মাত্র পাঁচ বছরের জন্য এখানে দায়িত্ব নিয়ে নিশ্চয় নিজেদের বিতর্কিত করব না।’ পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আইনজীবীদের দেয়া চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেহেতু রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ করেছেন। তাই এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। প্রশিক্ষণ যখন থেকে চলছে, তখন থেকেই প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মানি দেয়া হচ্ছে। এখনও দেয়া হয়। এটা কমিশন থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত।’ একজন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে- এ প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, ‘এ ব্যাপারে তার কথার বিরুদ্ধে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণের ব্যয় সংক্রান্ত অডিট আপত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অডিট আপত্তি প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানেই আসতে পারে, এটা দুর্নীতি নয়। আমি যে খাতে খরচ করেছি, আমি টাকাটা সঠিকভাবে খরচ করেছি কি-না, সেজন্যই অডিট হয়।’ স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে কবিতা খানম বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কিছু কিছু সহিংসতা হচ্ছে, এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট। তবে আগের তুলনায় সহিংসতা অনেকটা কম। নির্বাচনের পরিস্থিতি যাতে ব্যাহত না হয়, এজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। প্রার্থীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তাহলে নির্বাচনের পরিবেশটা ভালো থাকবে।’ ইসি নির্বাচনের কোনো ঘটনা তদন্ত করেছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই ইসি প্রত্যেকটা অভিযোগ তদন্ত করেছে। কিছু কিছু বিষয় থাকে ইসির এখতিয়ারের বাইরে, সেগুলো সম্পর্কে আমরা পরামর্শ দিয়েছি। গত ৩০ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে যেখানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেসব কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করেছি।’ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন ইসির পক্ষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ যদি আমাদের কাছে আসে, তখন আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব। রিটার্নিং অফিসারের কাছে যখন একটি অভিযোগ আসে তখন সে অভিযোগটি তদন্ত করেন এবং সেগুলো তিনি তদন্ত করে আমাদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে যে অভিযোগগুলো আমাদের কাছে আসে সেগুলো থানায় মামলার জন্য দেয়া হয়। ভোটের মাঠ আপনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটের মাঠে আমরা অবশ্য থাকি না। কিন্তু আমরা গণমাধ্যমের খবর দেখি। যে ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের কাছে সমস্যা বলে মনে হয়, সেখানে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেই।’ Related posts:জনগণের আশীর্বাদ ছিল বলেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি : প্রধানমন্ত্রীবর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু, মানুষের ঢলরমজানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার: খাদ্যমন্ত্রী Post Views: ২২৩ SHARES জাতীয় বিষয়: