জনপ্রতিনিধিদের মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১ অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেশের মানুষের কল্যাণ করা, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করা এটাই যেন লক্ষ্য হয়। তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার সুফল যেন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পেতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আপনারা কাজ করবেন, এটাই প্রত্যাশা।’ বৃহস্পতিবার বিকেলে নবনির্বাচিত চসিক মেয়র ও কউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ শপথ অনুষ্ঠান হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। খবর বাসসের। শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের কাছে আপনারা যে ওয়াদা দিয়ে এসেছেন আর আজকে (বৃহস্পতিবার) যে শপথ নিলেন, সেটা মাথায় রেখেই আপনারা মানুষের জন্য কাজ করবেন। নির্বাচন একবারেই শেষ হয়ে যায় না। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারলে বারবার নির্বাচিত হওয়া যায়, অন্য কিছু লাগে না। এটাই আমরা বিশ্বাস করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আজকে শপথ নিয়ে নিজ নিজ এলাকার মানুষের কাছে যাবেন এবং সার্বিকভাবে যেসব উন্নয়নের কর্মসূচিগুলো আমরা হাতে নিয়েছি, যথাযথভাবে সেগুলো যেন বাস্তবায়িত হয়। এখানে কোনোরকম ঘাটতি যেন দেখা না দেয় এবং দ্রুত হয়, সেটাই আমরা চাই।’ প্রধানমন্ত্রী করোনার মধ্যে সাহস করে ভোটকেন্দ্রে আসায় চট্টগ্রামের ভোটারদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, তার সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নে যেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে, তার সুফল ইতোমধ্যে মানুষ পেতে শুরু করেছে। নিজেরা খালি চোখে দেখলেই বুঝতে পারবেন ‘৯৬ সালের আগে বা ২০০৯ সালের আগে চট্টগ্রাম কেমন ছিল, আর এখন কেমন। কেবল চট্টগ্রাম নয়, সারাদেশেই তার সরকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের আরও এক হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের আরও অতিরিক্ত ৫০ হাজার ঘর নির্মাণের জন্য এক হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছি। আমরা আরও এক লাখ ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। আমরা সার্ভে করেছি, যাতে একটা মানুষও যাতে দেশে গৃহহীন না থাকে।’ জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এলাকায় দেখবেন কোনো লোক গৃহহীন আছে কিনা, আপনারা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেবেন, আমরা ঘর করে দেব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।’ তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে মুজিববর্ষ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১, ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা সময় নিয়েছি এবং সেই সময়ের মধ্যে আমরা চাই বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ ঘর পাবে, তাদের ঠিকানা পাবে। বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে। যেসব জায়গায় গ্রিড লাইন রয়েছে, সেখানে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ইতোমধ্যে শেষ হলেও যেসব জায়গা দুর্গম হওয়ায় গ্রিড লাইন নেওয়া সম্ভব নয়, সেসব জায়গায় সোলার প্যানেল এবং সাবমেরিন কেবলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের পঞ্চবার্ষিক, ১০ ও ২০ বছর মেয়াদী প্রেক্ষিত এবং ডেল্টা মহাপরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ এক দেশ। করোনাকালীন অর্থনীতির স্থবিরতা কাটাতে তার সরকারের দেওয়া ২৩ দফা প্রণোদনার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অর্থনীতি যেন স্থবির না হয়ে যায়, সেজন্য আমি প্রণোদনা দিয়েছি। যেখানে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ, শিক্ষক থেকে শুরু করে সবাইকে দিয়েছি, যতটুকু সাধ্যে কুলিয়েছে। কাউকেই আমি বাদ দিইনি।’ তিনি বলেন, মানুষের জীবনের স্থবিরতা দূর করতেই তার সরকারের এহেন পদক্ষেপ। নিয়ম অনুযায়ী মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী। এরপর কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। গত ২৭ জানুয়ারী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়র, ৫৫ জন কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ১৪ ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলররা এদিন শপথ গ্রহণ করেন। Related posts:জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৯টি প্রকল্পে জাইকার সহায়তা ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার্যাব সব সময় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে : প্রধানমন্ত্রী Post Views: ১৯৭ SHARES জাতীয় বিষয়: