স্টাফ রিপোর্টার : চতুর্থ ধাপের শেরপুর ও শ্রীবরদী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া লিটন ও মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া। ১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার ওই তথ্য নিশ্চিত করেন।
শেরপুর পৌরসভায় ইভিএম’র মাধ্যমে ও শ্রীবরদী পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, শেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে ২৯ হাজার ৬৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৯৬, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৫৫ ও অপর বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফ রেজা চামচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫২০ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সুইট পেয়েছেন ৫২৭ ভোট, প্রকৌশলী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৩২২ ভোট ও আল আমিন পেয়েছেন ১৭৬ ভোট।
এদিকে শ্রীবরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে ৬ হাজার ৬৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ লাল মিয়া। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত আব্দুল হাকিম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৪২ ভোট, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২হাজার ৮৪৩ ভোট।
নির্বাচনী মাঠে শেরপুর পৌরসভায় ৩৫টি ভোট কেন্দ্রের জন্য তিন টিম র‌্যাব, তিন প্লাটুন বিজিবি, পর্যাপ্ত পুলিশ, ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং শ্রীবরদী পৌরসভায় ৯টি ভোট কেন্দ্রে ২৪জন র‌্যাব, দুই প্লাটুন বিজিবি, ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শেরপুর পৌরসভায় ৭ জন মেয়র, ৪৯ জন কাউন্সিলর ও ১৮ জন সংরক্ষিত আসনে এবং শ্রীবরদী পৌরসভায় ৪ জন মেয়র, ৩২ জন কাউন্সিলর ও ১৬ জন প্রার্থী সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শেরপুর পৌরসভায় মোট ভোটার ৭৫ হাজার ৭৩৮ জন এবং শ্রীবরদী পৌরসভায় মোট ২০হাজার ৯০৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।