প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঝিনাইগাতীর আলোচিত নাজিম উদ্দিনের পকা বাড়ীর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে

প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২০

হারুন অর রশিদ দুদু ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধীগাঁও গ্রামের সেই আলোচিত ভিক্ষুক ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধ নাজিম উদ্দিন। করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে তার ঘর তৈরির জন্য ভিক্ষা ভিত্তির সঞ্চয়কৃত ১০ হাজার টাকা গত ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবেল মাহমুদের করোনা তহবিলে দান করেন। ওই গ্রামের মৃত ইয়ার উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিনের দানের ওই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোচর হয়। ভিক্ষুকের এই মানবিকতা দেখে প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক নির্দেশ মোতাবেক শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিনকে পাকা ঘর-বাড়ী ও অন্যান্য সরকারী সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী গান্ধীগাঁও গ্রামে তৈরি হচ্ছে নাজিম উদ্দিনের জন্য এক বিশাল পাকাঘর। পাঁচ শতাংশ জমির উপর এ ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রত্যন্ত পল্লী গারো পাহাড়ের এ গ্রামে নাজিমকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ঘর দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় প্রতিদিন আসছে লোকজন। পুরো বাড়িটি ইট দিয়ে গেঁথে তোলা হয়েছে। সেখানে থাকছে দু’টি কক্ষ। বাড়ির ওপরে রঙিন টিনের ছাউনি। দু’পাশে লোহার গ্রিল দিয়ে বারান্দা করা হয়েছে। রয়েছে বেশ বড় রান্নাঘর, তারপাশে গোসলখানা ও শৌচাগার। সব মিলিয়ে একটি মনোরম পরিবেশের বসতবাড়ি বৃদ্ধ নাজিম উদ্দিনের জন্য উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্র্রী শেখ হাসিনা।
এ প্রসঙ্গে শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সত্যিকার অর্থেই মানবতার মা। তিনি প্রত্যন্ত পল্লীর একজন ভিক্ষুকের দান গ্রহণ করে তাকে ও দেশকে সম্মানিত করেছেন। এজন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জননেত্রী বলা হয়। ঝিনাইগাতীর ইউএনও রুবেল মাহমুদ বলেন, ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিন ঘর তৈরি করার জন্য অনেক কষ্টে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। সেই টাকা তিনি করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের জন্য সরকারি তহবিলে দান করেন। ওই বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসক মহোদয় ও আমি সরকারী অর্থে ওই পাকা বাড়ী নির্মাণের কাজ শেষ করেছি। আগামী জুলাই মাসে আমরা ওই ঘর তার কাছে হস্তান্তর করবো। এছাড়াও ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিনকে প্রতিমাসে আমরা খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছি। পাকা বাড়ী পেয়ে ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিন জানান, ৮০ বছর বয়সে সুখে-শান্তিতে থাকার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাকা বাড়ী করে দিয়েছেন। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি পাকা বাড়ীতে থাকবো। আমি যতদিন বেঁচে আছি নামাজ পড়ে দু’হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আল্লান যেন দীর্ঘজীবি করেন এবং সুস্থ রাখেন এই হবে এখন থেকে আমার কাজ।