বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে উড়বে জাতীয় পতাকা অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২১ অনলাইন ডেস্ক : মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখ বুধবার দেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে।’ ৪৫ বছর পর আবারও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে উড়বে জাতীয় পতাকা। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ, বুধবার সারাদেশের সকল প্রতিষ্ঠান ও সরকারি ভবনে এবং বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে জাতির পিতার জন্মদিনে পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত শুধু আগামীকালের জন্য। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখ বুধবার দেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে।’ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন। তবে নির্দেশনা ‘দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ ফ্ল্যাগ রুলস, ১৯৭২’ বা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২’-এর কোনো পরিবর্তন নয় বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাতীয় পতাকা-সংক্রান্ত বিধিমালা জারি করা হয়। ‘দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ ফ্ল্যাগ রুলস, ১৯৭২’ বা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২’ শিরোনামের এই বিধিমালায় জাতীয় পতাকার রঙ, আকার এবং উত্তোলনের নিয়ম সুনির্দিষ্ট করা ছাড়াও সরকারিভাবে পতাকা উত্তোলনের কয়েকটি দিন নির্ধারণ করা হয়। ওই বিধিমালার ৪-এর ১ উপবিধিতে বলা হয়, নিম্নোক্ত দিনগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশি মিশন ও কনস্যুলারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে: ক. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ খ. স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ গ. বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর. ঘ. সরকার ঘোষিত অন্য যেকোনো দিবস। বিধিমালার ৪-এর ২ উপবিধিতে দুটি দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো: ক. শহিদ দিবস ও খ. জাতীয় শোক দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতার পালাবদলে ওই বছরের ৬ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখনকার প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম। সে সময় অবশ্য পেছন থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। ১৯৭৬ সালের ১০ মার্চ তার সময়েই জাতীয় পতাকা বিধিমালায় প্রথম সংশোধনী এনে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের শ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন ঈদে মিলাদুন্নবীতে সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং দেশের বাইরে কূটনৈতিক মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হয়। বিধিমালা সংশোধন করে বিধানটি যুক্ত করার পর প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই দিনই প্রকাশ করা হয় প্রজ্ঞাপনের গেজেট। রাষ্ট্রপতির আদেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব এ কে এম মহসিন গেজেটে সই করেন। এই সংশোধনীতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ পতাকা উত্তোলনের বিধানটি বিলোপ করা হয়। এটি পরে আর কোনো সংশোধনীতেই ফিরিয়ে আনা হয়নি। Related posts:সারাদেশে করোনায় আরও ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৬৬ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে বিকেলে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রীজাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী Post Views: ২৫৪ SHARES জাতীয় বিষয়: