শেরপুর ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ ॥ চেয়ারম্যান আধার, সম্পাদক জুবায়ের

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : নান্দনিক শেরপুর গড়ে তোলাসহ আর্তমানবতার সেবায় কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয়ে এবার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে ‘শেরপুর ফাউন্ডেশন’ নামে আরও একটি সামাজিক সংগঠনের। ৩১ মার্চ বুধবার দুপুরে শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারের উদ্যোগে শহরের বটতলা কালিরবাজারস্থ সিটি ল’ চেম্বারে তার সভাপতিত্বে আয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের উপস্থিতি ও মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে ওই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি-সাংবাদিক তালাত মাহমুদ, অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম তালুকদার, কবি আরিফ হাসান, শিক্ষক আইয়ুব আকন্দ বিদ্যুৎ, সাংবাদিক-সমাজসেবক মোহাম্মদ জুবায়ের রহমান, সমাজসেবক মাছুদুল আলম সরকার, ডাঃ হাফিজুর রহমান লাভলু, সমাজসেবক ফরিদুজ্জামান, সুলতান মাহমুদ সুজন, শিক্ষক কামরুজ্জামান বাদল ও মাহবুব হাসান রুবেল, আইনজীবী তাজুমুল ইসলাম ও আশরাফুজ্জামান, প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
পরে নবপ্রতিষ্ঠিত ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মনোনীত হন উদ্যোক্তা বিশিষ্ট সংগঠক রফিকুল ইসলাম আধার। আর সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন বিশিষ্ট সাংবাদিক-সাহিত্যিক ও সমাজসেবক মোহাম্মদ জুবায়ের রহমান।

এ ব্যাপারে নবপ্রতিষ্ঠিত ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুবায়ের রহমান জানান, বর্তমানে শেরপুরবাসীর বিপুল আস্থায় থাকা বিশিষ্ট সংগঠক রফিকুল ইসলাম আধারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনটি হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী-সামাজিক সংগঠন। এর মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক শেরপুর গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করা হবে। প্রয়োজনে বৃহত্তর সমস্যা সমাধানে বিশেষ করে শেরপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও রেললাইন বাস্তবায়নের দাবিসহ নানা দাবি নিয়ে নাগরিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেইসাথে যানজট ও জলাবদ্ধতামুক্ত শহর গড়াসহ নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার পাশাপাশি নানা দুর্যোগে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করা হবে। একইসাথে গুণীজন, মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদানসহ সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক, ইভটিজিং ও নারীর প্রতি সহিংসতা-বাল্যবিবাহ প্রতিরোধেও মাঠে থেকে কাজ করবে এ সংগঠনটি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব দ্রুতই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হবে এবং পরিষদের প্রথম সভাতেই নানা কর্মসূচি হাতে নিয়ে মাঠে কাজ করবে এ সংগঠনটি। তার মতে, দ্বিতীয় ধাপের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা এ সংগঠনের প্রথম কর্মসূচি হতে পারে।