নালিতাবাড়ীতে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২১ নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা খলচান্দা কোচ পাড়ায় পাকা ধান খেয়ে সাবাড় করছে বন্য হাতির পাল। রোববার দিবাগত রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে তখন পাকা বোরো ধান ক্ষেতে হামলা চালায় বন্য হাতির দলটি। হাতির দল ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে শেষ করে দেয় কৃষকের স্বপ্ন। মাত্র কয়েকদিন পড়েই এসব ধান কৃষকের গোলায় ওঠতো। পাহাড়ের খোলে আবাদী এসব ধান পাহাড়া দেয় কৃষক রাত জেগে। পাহাড়ি অঞ্চলে হাতি আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে কৃষকেরা। কেউ কেউ আবার হাতির আক্রমণের ভয়ে কাঁচা ধান কেটে ফেলছে। তবুও থেমে নেই বন্য হাতির দল। পাহাড়িবাসী যখন রাত জেগে ক্লান্ত হয়ে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ে তখন পাহাড় থেকে নেমে আসে হাতিরা। এলাকাবাসী জানান, এসব বন্য হাতি খুব হিংস্র। ঢাক ডোল পিটিয়ে মশাল জ্বালিয়ে হৈ হুল্লুর করে হাতির দলকে তাড়া করলে এখন আর ভয় পায় না তারা। পাল্টা আক্রমণ করতে আসে মানুষকে। যুগ যুগ ধরে পাহাড়িবাসী হাতির সাথে যুদ্ধ করে আসছে। তবুও থামছে না হাতির আক্রমণ। ক্ষেতের ধান যখন ঘরে ওঠার সময় হয় তখনি হাতির অত্যাচার বৃদ্ধি পায়। আবার গাছে ফল পাকার সময় হলেও হাতির দল নেমে আসে লোকালয়ে। তান্ডব চালায় গাছপালা ও বাড়িঘরে। ধ্বংস করে দেয় সব। রোববার ২৫ এপ্রিল রাতে পাহাড়িবাসী মনে করেছিল হাতির দলটি গত কয়েকদিনের তাড়া খেয়ে ভারতের গহীন অরণ্যে চলে গেছে। এটা নিশ্চিত হয়ে খলচান্দা গ্রামের কোচ পরিবারগুলো রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। সুনসান নিরবতায় ২৫/৩০টি হাতি দলবদ্ধভাবে ভারতীয় সীমা ঘেষাঁ আবাদী পাকা বোরো ধানে হামলা চালায়। আশপাশে কোনো বাড়িঘর না থাকায় হাতির আক্রমণের শব্দ কারো কানে পৌঁছায়নি। তাই ইচ্ছেমতো হাতি পাকা ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে ধ্বংস করে দেয় সব। রাত পোহালে কৃষক ক্ষেতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে যায়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় ওই এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা গোপেন্দ্র কোচ পরিবার। মুক্তিযোদ্ধা গোপেন্দ্র কোচের সন্তান বাঁধন কোচ, সে ৬০ শতাংস জমি আবাদ করে বহু কষ্টে। বুনো হাতির দল সমস্ত ক্ষেতের ধান খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছে। ফসলের মধ্যে আবাদী এই জমির ধানই ছিল তাদের পরিবারের একমাত্র ভরসা। এখন তাদের অন্যত্র কাজ করে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হবে বলে তিনি জানান। তাছাড়া খোকন কোচ এর ৬০ শতাংস, শ্রীকান্ত কোচের ৫০ শতাংস, সুকুমার কোচের ২৫ শতাংস, বকুল কোচের ২০ শতাংস জমির ধান হাতি সাবাড় করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ এই পরিবারগুলো জানান। বাঁধন কোচ (২৫) বলেন, কদিনের মধ্যেই আমরা এসব ধান কাটতাম। এরমধ্যে আজকে রাতেই শেষ। এমন হলে আমরা কেমনে চলবো। চলার মতো আমাদের কোনো উপায় নেই। সারা বছরই হাতি আমাদের এমন ক্ষতি করছে। তাই সরকারের কাছে দাবি হাতির আক্রমণ থেকে তারা রেহাই পেতে চান। পরমেশ্বর কোচ (২৮) বলেন, হাতির অত্যাচারে আমরা ঘুমাতে পারছি না। সব শেষ করে দিচ্ছে। হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তিনি সোলার বাতির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান। Related posts:৪ দিন বন্ধ থাকার পর শেরপুর থেকে ঢাকাগামী সব বাস চলাচল শুরুঝিনাইগাতীতে যুবলীগের উদ্যোগে নগদ অর্থ প্রদানশপথ নিলেন শেরপুর সদরের ১৪ ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান-সদস্যবৃন্দ Post Views: ২৭৬ SHARES শেরপুর বিষয়: