শেরপুর হেল্পলাইন’র ৫ম বর্ষে পর্দাপণ

প্রকাশিত: ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি : সকলের ভালোবাসায় ৪ বছর পূর্ণ হলো শেরপুর হেল্পলাইন এর। গুটি গুটি পায়ে সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে শেরপুর হেল্পলাইন এর পথ চলা।
“শেরপুর হেল্পলাইন” নামে ফেইসবুক ভিত্তিক একটি গ্রুপে যেকেউ হেল্প (সাহায্য) চেয়ে গ্রুপের সদস্যদের হেল্প বা সাহায্য নিয়ে সবাই খুশি। ৩০ হাজারের অধিক সদস্যের এ ফেইসবুক গ্রুপে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের আশায় পোষ্ট দিলে মিলছে সমাধানের সাড়া। এ গ্রুপটি ইতিমধ্যে শেরপুর জেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে আস্থা ও জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্থানে আছে বলে অনেকে মনে করছেন। এ গ্রুপটি শেরপুরের তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ও সচেতন সুশীল ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত।
জনস্বার্থে মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা, স্বেচ্ছায় রক্ত দান ও রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করা, একে অন্যের বিপদে এগিয়ে আশাসহ দেশ ও জনগনের উন্নয়নের লক্ষে ২০১৭ সালে এ গ্রুপটির যাত্রা শুরু হয়।
উলেক্ষ্য ২০২০ সালের শুরুতে এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ২০ হাজার অতিক্রম করায় সেবার মান আরও বেড়েছে বলে অনেকে জানান।
শেরপুর হেল্পলাইনের এডমিন প্যানেলের সদস্য হিসেবে কাজ করছে প্রণব কুমার দাস, মারুফ আহমেদ, লুৎফুন্নাহার স্বর্ণা, মিঠুন কুমার দে, প্রান্ত কুমার সাহা, সৌরজিৎ রায়, জয়ন্ত দে, নিপুণ চন্দ্র, তিথি নন্দী, অভিজিৎ চক্রবর্তী ও শারমিন সম্পা ।
জানা যায়, এ গ্রুপের মাধ্যমে যেকেউ কুরিয়ার সার্ভিসের ঠিকানাসহ যেকোন গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের ঠিকানা জানতে, গুরুতর রোগীর রক্তের প্রয়োজনে, কারও জরুরি প্রয়োজনে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও কোন থানার ওসির নাম্বারসহ জেলা-উপজেলায় কর্মরত যেকোন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল নম্বর জানতে, কারও শখের জিনিস পাওয়ার ঠিকানা জানতে বা ক্রয়-বিক্রয় করতে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু হারিয়ে গেলে তা পেতে প্রয়োজনীয় পরামর্শদানে, শেরপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া বা শেরপুরে আসে এমন যেকোন বাস সার্ভিসের সময়সূচি জানতে, জরুরি প্রয়োজনে বিশিষ্ট চিকিৎসকের ঠিকানা জানতে, বাসা ভাড়া কিংবা মেসে সিটের প্রয়োজনে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির তথ্য পেতে এমন হাজারও প্রয়োজনে এ গ্রুপে পোস্ট দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনে গ্রুপের সকল সদস্যরা মিলে এর সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ফলে ফেইসবুক ভিত্তিক এ গ্রুপের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ও কর্মপরিধি দিন দিন বাড়ছে। সাধারণ জনগনরাও এই গ্রুপের দিকে ঝুঁকছেন।
এডমিন প্যানেল জানান, অনেক কিছু করার ইচ্ছে ছিলো। করোনার এই মহামারিতে কিছুটা পেরেছি, তবে না পারার হিসেবটাই বোধ হয় বেশ লম্বা হবে। তবুও একজনের উপকারে আসতে পারলেও নিজেকে ধন্য মনে করবো। চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার, সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শেরপুর হেল্পলাইনের ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে একটা কথাই বলবো অনেক ঝামেলার পরেও আমরা আমাদের এই গ্রুপ তৈরির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও নীতি থেকে বিচ্যুত হইনি। আর এক্ষেত্রে আমরা কখনও আপোষ করবও না। সবার সহযোগিতা চাই, দোয়া চাই।