জামালপুরে দূর্বৃত্তের হাতে যুবক খুন

প্রকাশিত: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২১

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুরে পিটিয়ে এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞেসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
২৪ জুলাই রবিবার সকালে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের চতলাপাড়া গ্রামে আবদুল আওয়াল (১৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রতিবেশী শরাফত আলীর ছেলে ফারুককে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। পরে বেলা ১২টার দিকে নিহতের মরাদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আওয়াল উপজেলার চতলা পাড়া গ্রামের মো. খলিল মিয়ার ছেলে। সে ড্রেজার শ্রমিক ছিল। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সে বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে আর নিহত আওয়াল বাড়ি ফিরে আসেনি। সন্ধ্যার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আওয়াল গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেন। কোনো সন্ধান না পাওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। আজ সকালে বাড়ির পাশে স্থানীয় লোকজন ওই যুবকের মরাদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ তার মরাদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেন। নিহতের শরীরে বালু লেগে থাকায় শরাফত আলীর বাড়ির পাশে বালুর একটি মাঠে তিনটি জায়গায় ধস্তাধস্তির ছাপ ও রক্তের দাগ লেগে আছে বলে বৃত্তাকার চিহ্ন দিয়ে রাখেন স্থানীয় লোকজন।
নিহতের মা ও আত্মীয়রা জানান, গত প্রায় ২মাস আগে তাদের বাড়ির পাশে পাট চাষ করে শরাফত আলী। সেই পাট খেতে দেশি পাটের চাষ করায় স্থানীয় লোকজন শাক হিসেবে তা তুলে আনে। সেই পাট শাক তুলাকে কেন্দ্র করে শরাফত আলীর ছোট ছেলে ইকরামুলের সাথে আওয়ালের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সেই সময় আওয়ালকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় ইকরামুল। সে ঘটনায় আওয়ালকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। তারা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।
এ ঘটনায় ইকরামুল জানান, গতকাল রাতে ৮টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে আওয়ালের মারা যাওয়ার ঘটনা শুনে দেখতে যায়। আমার সাথে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মাজেদুর রহমান জানান, নিহত আওয়ালের মরাদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।তবে যেখান থেকে তার মরাদেহ উদ্ধার করা হয়েছে হামলাস্থল এখানে না। অন্য কোথাও তার উপর হামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।