ঝিনাইগাতীতে কবুতর চুরির অপবাদ সইতে না পেরে কিশোরের আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২১

হারুন অর রশিদ দুদু : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে কবুতর চুরির অপবাদ সইতে না পারে অভিমান করে সজিব (১৪) নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মতহ্যা করেছে। ৪ আগষ্ট বুধবার সন্ধ্যায় নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত সজিব উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের মধ্য ডেফলাই গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে ও শালচুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্র। নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে একই গ্রামের বাসিন্দা চাঁন মিয়ার ছেলে ছামু (১০) ও জয়নালের ছেলে হেদা (১৩) এবং নিহত সজিব সহ ৩ বন্ধু মিলে একই গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে ইস্রাফিলের বাড়ী থেকে ৩টি কবুতর চুরি করে ঝিনাইগাতী বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। ইস্রাফিল ও তার স্ত্রী বাড়ীতে না থাকায় ইস্রাফিলের বোন লাইলী (৪০) কবুরত চুরির বিষয় নিয়ে ওই কিশোরদের অভিভাবকে জানালে, কিশোর ছামুর মা মোশের্দা বেগম নিজেই ঝিনাইগাতী বাজারে গিয়ে সজিব, ছামু ও হেদাকে চুরিকৃত ৩টি কবুরত সহ বাজার থেকে বাড়ীতে ফিরে আসার সময় ছামু ভয়ে রাস্তা থেকে পালিয়ে গেলেও বাকি ২ কিশোরকে নিয়ে ৩টি কবুতর ইস্রাফিলের বোন লাইলীকে বুঝিয়ে দিতে গেলে তাদেরকে লাইলী চোর উপাদি দিয়ে গালমন্দ করেন। এমতাবস্থায় কিশোর সজিব তাদের বাড়ীতে আসার পর সজিবের মা নাজমা বেগমও ছেলেকে গালমন্দ করেন। সবকিছু মিলে কবুতর চুরির বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে কিশোর সজিব সকলের অগোচরে সন্ধার আগে তাদের বসত ঘরের ধর্নাতে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস টানিয়ে ঝুলে পড়ে। পরিবারের লোকজন দ্রুত সজিবকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজিবকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসেন এবং সুরতহাল করেন।
পরে বুধবার দিবাগত রাতেই অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান, ওসি তদন্ত সারোয়ার, এসআই কাজল সহ সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আলামত সংগ্রহ করেন। কিশোর সজিবের অস্বাভাবিক মৃত্যেুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে পাঠানো হচ্ছে। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।