দেড় মাসের মধ্যে পরীমণি-হেলেনাদের মামলার প্রতিবেদন দেবে সিআইডি অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২১ অনলাইন ডেস্ক : চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিভিন্ন ঘটনায় দায়ের হওয়া অন্তত ১৫ টি মামলার তদন্ত আগামি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। এরপরই মামলাগুলোর অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হবে। সংস্থাটি পরীমণি ছাড়াও হেলেনা জাহাঙ্গীর, জিসান, নজরুল ইসলাম রাজ, মিশু হাসানদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৫টি মামলার তদন্ত করছে। ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে মামলাগুলোর তদন্ত শেষ হয়ে যাবে। এরপর একে একে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। রাজধানীর মালিবাগে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য দেন। সিআইডির প্রধান বলেন, সিআইডি ১৫টি মামলার তদন্ত করছে। প্রতিটি মামলার মোটিভ, গতি-প্রকৃতি আলাদা। মামলার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ সাক্ষী-আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা, আলামত সংগ্রহ ও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা। তবে মাদক মামলার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফরেনসিক ও ক্যামিকেল পরীক্ষার প্রয়োজন ছিল। সেগুলো করতে দেওয়া হয়েছে। আসামি ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ‘ফরেনসিক প্রতিবেদন পেলেই এই মামলাগুলোে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা শুরু করতে পারব। আমরা আশা করছি আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল করা শুরু হবে’- বলেন তিনি। পরীমণি বা পিয়াসাদের বাসায় মাদক মজুদ ও সংগ্রহ করার বিষয়ে কী ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মাহবুব বলেন, মাদক মামলার আলামত তো ঘটনাস্থলেই পাওয়া গেছে। সেগুলো মাদক কি না তা জানতে ক্যামিকেল ও ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। জব্দ করা মাদকের উৎস সম্পর্কে আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, অনেকেই অনেক রকম তথ্য দিয়েছেন। কেউ বলেছেন বিদেশ থেকে নিয়ে এসেছেন, কেউ বলেছেন বিমানবন্দর থেকে কিনেছেন, কেউ নানা উপায়ে সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু যেখান থেকেই সংগ্রহ করা হোক না কেনো, এসব মাদক সংগ্রহে রাখা বা মজুদ রাখা আইনত অপরাধ। এসব মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের তথ্য পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের এই পর্যায়ে আমরা মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য উপাত্ত যাচাইয়ের পর্যায়ে আছি। মানি লন্ডারিং মামলার ক্ষেত্রে দুটি পর্যায়। একটি যাচাই বাছাই, আরেকটি ইনকোয়ারি। প্রায় ২২টি জায়গা থেকে রিপোর্ট পেতে হয়। সব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর যদি মনে হয় মানি লন্ডারিং হয়েছে তাহলে আমরা তদন্ত করব। ‘আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় অনেকের তথ্য চেয়েছি। যাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর মনে হয়েছে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত কিছু আছে তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য চেয়েছি। আমরা সেগুলো যাচাই বাছাই করছি’- বলেন সিআইডি প্রধান। Related posts:সব জেলা সদর হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপন করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রীবাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদনের প্রতিবাদপাঁচ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস Post Views: ১৮৬ SHARES জাতীয় বিষয়: