হয়রানীমূলক মামলায় শেরপুরে সাংবাদিককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১

শেরপুর প্রেসক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি মারুফুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা-হয়রানীমূলক’ মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং দ্রুত মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে শহরের মাধবপুরস্থ শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংবাদিক মারুফের স্ত্রী মোছা. সুমনা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্বামী সাংবাদিক মারুফুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকায় তারই চাচাতো ভাই ওবায়দুর রহমান তুহিন, জুয়েল ও তরুণ গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১২ জুন ভোরে তাদের বসতবাড়ির খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগ করে ওবায়দুর রহমান তুহিনসহ অন্যান্যরা। ওই ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন মারুফ। ওই মামলায় জামিন নিয়ে এসে তুহিনসহ অন্যান্যরা তাদের বাড়ির কাজের লোকের মেয়েকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করে মারুফের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করায়। ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিতে মারুফ ঢাকায় অবস্থান করছিল। ওই অবস্থায় গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে র‌্যাব-১৪ ঢাকা থেকে সাংবাদিক মারুফকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন, তার স্বামী মারুফুর রহমানকে গ্রেফতার করা হলেও তুহিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলার এফআইআরভুক্ত আসামি তুহিনকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হলেও আসামি তুহিনকে গ্রেফতার না করায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাই তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন। সেইসাথে তার মেয়েকে নির্যাতনকারী তুহিনকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহাম্মেদ বলেন, ওই মামলার আসামি তুহিন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মলয় মোহন বলের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাংবাদিক মারুফকে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয় এবং এজাহারনামীয় আসামি তুহিনকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। সেইসাথে সাংবাদিক মারুফকে গ্রেফতারসহ অন্যান্য ঘটনাগুলোর তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়।