শেরপুরের স্কুলগুলোতে ঈদ আনন্দ, প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর শিক্ষার্থীরা রাজাদুল ইসলাম বাবু রাজাদুল ইসলাম বাবু স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১ করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর সারাদেশের ন্যায় শেরপুরেও চালু হয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১২ সেপ্টম্বর রবিবার সকাল থেকে জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলে পাঠদান। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত শিক্ষক ও অভিভাবকরাও। সরেজমিনে শহরের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ‘শিক্ষার্থীদের আগমন উপলক্ষে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা ও স্বাগতম’ সম্বলিত ব্যানারসহ প্রতিষ্ঠানগুলো সাজানো হয়েছে ফুল ও বেলুন দিয়ে। বিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস শুরুর আগে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসরুমের প্রতিটি বেঞ্চে দুজন করে শিক্ষার্থী বসানো হয়েছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাত ধোয়ার জন্য রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত বেসিন। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ক্লাশে পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অভিভাবকদের। এদিকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়িয়ে দীর্ঘ সময় পর স্কুলে আসতে পেরে আনন্দিত শিক্ষার্থীরাও। তবে স্কুলে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও কলেজের চিত্র ভিন্ন। প্রায় কলেজেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। ঢাকলহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া তাবাসসুম তাবা স্কুলে আসতে পারার অনুভূতি প্রকাশ করেন এভাবে, এ যেন আমার কাছে একটি স্বপ্নের দিন। কখনো কল্পনাতেই ছিল না, আজ আমার বন্ধুদের দেখবো, তাদের সঙ্গে কথা বলবো, হাসবো, একই সুরে গান গাইবো। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেখেও অনেক ভালো লেগেছে। ক্লাসে পড়াশোনার চাইতে আজ স্বাস্থ্যবিধি মানা ও পরিবারের সবাইকে নিয়ে করোনামুক্ত থাকার বিষয়ে শিক্ষকরা পরামর্শ দিয়েছেন বেশি। যদি প্রতিদিন ক্লাস করতে পারতাম, তাহলে আরও খুশি লাগতো। আফছর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী লিজা আক্তার শ্যামলীনিউজ২৪ডটকমকে বলেন, এতদিন পর স্কুলে আসতে পেরে সত্যিই আনন্দ লাগছে। টানা বাসায় থাকতে থাকতে আমরা সবাই অনেক ক্লান্ত ছিলাম। স্কুল খোলায় ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয়ে গেছে। এতদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে জীবন ধন্য হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম জানান, জেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই উৎসবমুখর পরিবেশে ক্লাশ শুরু হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর স্কুলে ফিরতে পেরে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভাবকগণও উচ্ছ্বসিত। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান জানান, দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খুললেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশ সন্তোষজনক। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রেও স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সচেতন রয়েছেন। Related posts:শেরপুরে করোনার টিকা পেলো এইচএসসি পরীক্ষার্থীরানকলায় এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে সেতু! পুনঃনির্মাণের দাবি এলাকাবাসীরশেরপুরে নারী ও যুবকসহ আরও তিন জনের শরীলে করোনা ভাইরাস শনাক্ত Post Views: ৪১৯ SHARES শিক্ষা বিষয়: