শেরপুরে কিশোরী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ৪৪ বছরের কারাদণ্ড অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১২:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১ শেরপুরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে যাবজ্জীবনসহ ৪৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। জরিমানার পাশাপাশি তার সম্পদ থেকে ধর্ষণের ফলে হওয়া সন্তানের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ভার্চুয়াল আদালতে রোববার বিকেলে এ আদেশ দেন। দণ্ড পাওয়া ৩১ বছরের বাবুল কবিরাজের বাড়ি সদর উপজেলার চরশেরপুর পূর্বপাড়া গ্রামে। আদালত সূত্রে জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার ওই কিশোরীকে ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল অপহরণ করে নিয়ে যান বাবুল। পরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় রেখে বিয়ের প্রলোভনে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এক পর্যায়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় কিশোরীর মা ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ চারজনকে আসামি করে সদর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলাটি করেন। মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তারের কিছুদিন পর কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় ওই কিশোরী। পরে ডিএনএ টেস্টে শিশুটি বাবুলের বলে প্রমাণিত হয়। তদন্ত শেষে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনের দেয়া অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল একমাত্র আসামি হিসেবে বাবুলের বিচার শুরু হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার আদালত বাবুলকে অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়। অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া ধর্ষণের দায়ে ৩০ বছরের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক। পাশাপাশি ধর্ষণের কারণে জন্ম নেওয়া শিশুর জৈবিক বাবা হিসেবে আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে আদায় সাপেক্ষে তার ভরণপোষণের আদেশ দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু বলেন, ‘বিচারক যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা খুশি।’ আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. সাখাওয়াতউল্লাহ বলেন, ‘রায়ে আমরা ন্যায্য বিচার পাইনি। আসামিপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে।’ Related posts:নকলায় পাটের বস্তা ব্যবহার নিশ্চিতে অভিযান: ১৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানাশেরপুরে অর্থ আত্মসাতের ৭০টি সাজাপ্রাপ্তসহ ৯২ মামলার পরোয়ানাভুক্ত ২ সহোদর গ্রেফতারশ্রীরবদীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৮ Post Views: ৪৬২ SHARES শেরপুর বিষয়: