শেরপুরে গোপন বৈঠককালে জামায়াতের ১৭ নেতা-কর্মী আটক

প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২১

শেরপুরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও গোপন বৈঠককালে ১৭ জামায়াত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ১৮ অক্টোবর সোমবার বিকেলে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে শহরের নারায়ণপুর বাগবাড়ীস্থ ‘দারুস শিফা’ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হচ্ছেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াতের শীর্ষ নেতা কামারুজ্জামানের কথিত ড্রাইভার সদর উপজেলার গাজীর খামার এলাকার মো. ছোটন (৫০), জামায়াত নেতা আব্দুর রউফ (৪৮) ও গোলাম কিবরিয়া (৩৬), শেরপুর শহরের বাগরাকসা মহল্লার রফিকুল ইসলাম (৪০), সজবরখিলা মহল্লার সামস উদ্দিন (৬০), আনিসুর রহমান (৫০) ও শফিকুল ইসলাম (৫২), কান্দাপাড়া মহল্লার বুলবুল আহম্মেদ (৫৫), দিঘারপাড় মহল্লার আব্দুল মোনাফ খান (৪৮), ঝিনাইগাতী উপজেলার আব্দুল বারীর ছেলে আব্দুর রউফ (৪০), সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের জঙ্গলদী গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৫৪)সহ আরও ৬ জন।

তবে আটককৃতদের দাবি, তারা ওই হাসপাতাল পরিচালনার সাথে জড়িত। সেখানে রাষ্ট্র বা সরকার বিরোধী কোনো গোপন বৈঠক ছিলো না। জানা যায়, শহরের দারুস শিফা প্রাইভেট হাসপাতালের একটি কক্ষে শেরপুর অঞ্চলের জামায়াত নেতা-কর্মীরা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও সাম্প্রতিক কুমিল্লার গুজব ইস্যু নিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ রাজনৈতিক অস্থিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন- এনএসআই’র এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় সাদা পোশাকদারী পুলিশ। এ সময় বৈঠকে থাকা ১৭ নেতা-কর্মীকে হাতেনাতে আটক করা হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে ২৩ টি মোবাইলসহ কিছু আলামত জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযানে অংশ নেওয়া শেরপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলী জানান, এনএসআই’র গোপন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তারা কি উদ্দেশ্যে সেখানে সমবেত হয়েছিলেন-তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ তদন্ত চলছে। সে রকম কিছু পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।