কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২১

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে তথা কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনতে পাঁচ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। আগামী ২০৭০ সালের মধ্যে ভারতের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নেমে আসবে বলে অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১ নভেম্বর সোমবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে এ অঙ্গীকার করেছেন মোদি।
যদিও চীনের দাবি, ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যপূরণ করতে পারবে তারা। অন্যদিকে, ২০৫০ সালের মধ্যে ওই লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

সম্মেলনে মোদি বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই বিদ্যুতের পঞ্চাশ শতাংশ চাহিদাই পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলবে ভারত। ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারতের কার্বন নিঃসরণ আরও এক বিলিয়ন টন কমিয়ে ফেলার দাবিও করেন তিনি।
২০৩০ সালের মধ্যে ভারত জীবাশ্ম বিহীন শক্তি উৎপাদনের পরিমাণ ৫০০ গিগাওয়াটে নিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন মোদি।
২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা পুরোপুরি কমিয়ে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পাশাপাশি সম্মেলনে মোট পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদি। এই পাঁচটি প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বের কাছে ভারতের উপহার বলেও উল্লেখ তিনি। পাঁচটি প্রতিশ্রুতি হচ্ছে-
১. ২০৩০ সালের মধ্যে অ-জীবাশ্ম শক্তির উৎপাদন বাড়িয়ে ৫০০ গিগাওয়াট করবে ভারত।
২. ওই একই সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে শক্তির চাহিদার ৫০ শতাংশই পূরণ করা হবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির মাধ্যমে।
৩. চলতি বছর থেকে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত যে পরিমাণ কার্বন দূষণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, তার থেকে ১০০ কোটি টন কম কার্বন নিঃসরণ করবে।
৪. ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কম করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ভারত।
৫. সর্বশেষে, ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে ভারত।
গ্লাসগোর আগে ইতালির রোমে জি-২০ সম্মেলনে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা হ্রাস করার জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই গোষ্ঠীভুক্ত দেশের রাষ্ট্রনেতারা। তার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়ালে সীমাবদ্ধ রাখা।
যদিও পরিবেশবিদ তথা বিজ্ঞানীদের মতে, এই লক্ষ্যপূরণে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে ৫০ শতাংশ। পাশাপাশি ২০৫০ সালের মধ্যে তা পুরোপুরি কমিয়ে ফেলতে হবে।