বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে

প্রকাশিত: ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯

শ্যামলী নিউজ ডেস্ক : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধুর জীবনের সাধনা ছিল পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করে একটি শোষণহীন, বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে ফোরাম ফর দি স্টাডি অব দি লিভার, বাংলাদেশ, লিভার ফাউন্ডেশন ওয়েস্ট বেঙ্গল, ভারত ও হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরা, ভারতের যৌথ উদ্যোগে প্রথম পদ্মা-গঙ্গা-গোমতি লিভার সম্মেলন ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মানুষের সাংবিধানিক মৌলিক চাহিদার অন্যতম স্বাস্থ্যসেবা। চিকিৎসা শাস্ত্রে সম্পৃক্ত সকলকে এ মহান পেশার মর্যাদা ও মানোন্নয়নে আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে। পেশাদারিত্বের উৎকর্ষ সাধন করে অমূল্য অবদান রেখে যাবার ব্রত থাকতে হবে। এ জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে চিকিৎসকদের জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।

গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সরকার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্মরণার্থে বাংলাভাষী লিভার বিশেষজ্ঞদের তিনটি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা, আগরতলা ও কলকাতায় তিনটি ‘পদ্মা-গঙ্গা-গোমতি লিভার সম্মেলন’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ আয়োজন প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অবিসংবাদিত বিশ্ব নেতা।

দেশের চিকিৎসা খাতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা যুগান্তকারী ভূমিকা রেখে চলেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যসেবাকে গণমুখী ও জনবান্ধব করতে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউট, মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল, হেলথ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন। এসবের লক্ষ্য হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানে দক্ষ মানুষ তৈরি এবং নাগরিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

ফোরাম ফর দি স্টাডি অব দি লিভার, বাংলাদেশের অনারারি চেয়ারম্যান শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে ‘শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু, গর্বিত বাঙালির জয়যাত্রা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ফোরাম ফর দি স্টাডি অব দি লিভার, বাংলাদেশ, লিভার ফাউন্ডেশন ওয়েস্ট বেঙ্গল, ভারত ও হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরা, ভারতের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা, আগরতলা ও কলকাতায় তিনটি ‘পদ্মা-গঙ্গা-গোমতি লিভার সম্মেলন’ আয়োজন করা হচ্ছে। যার প্রথমটি ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ২১-২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাভাষী লিভার বিশেষজ্ঞদের কৃতিত্ব ও অর্জনগুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার প্রয়াসে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।