ধর্মঘটে কক্সবাজারে আটকা পড়েছেন বিশ হাজার পর্যটক

প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২১

পর্যটন শহর কক্সবাজারে হঠাৎ করে গণপরিবহণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়াতে এসে প্রায় বিশ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। এসকল পর্যটক এখনও নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে পারেননি। আটকে পড়া পর্যটকরা ছোট যানবাহনে অন্য সময়ের চেয়ে ভাড়া দুই গুণ বেশি হওয়ায় কক্সবাজার ত্যাগ করতে পারছেন না। তবে অনেকে অতিরিক্ত ভাড়ায় উড়োজাহাজে কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন।

সপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে বৃহস্পতি-শুক্র ও শনিবার হাতে রেখে কক্সবাজার আসেন লাখো পর্যটক। অনেকে পূর্বের নির্ধারিত সময়ানুসারে কক্সবাজার এসেছেন বৃহস্পতিবার। আর শুক্রবার ভোরেও পৌঁছান অনেকে। যারা শুক্রবার ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তারা এসেছিলেন আরও কয়েকদিন আগে। এ ধরনের পর্যটক বিশ হাজার হবে বলে হোটেল সংশ্লিষ্টরা জানান।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সেক্রেটারি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক পূর্ব থেকে হোটেল রুম বুকিং দিয়েও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কক্সবাজারে ভ্রমণে আসতে পারেননি ।
তিনি জানান, হঠাৎ দূরপাল্লার বাস বন্ধ হওয়াতে পর্যটকরা চরম বেকাদায় পড়েছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।
জানা গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণপরিবহন, মালবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় পরিবহন সংগঠনের নেতারা। হঠাৎ যান চলাচল বন্ধের ঘোষণায় সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। কিন্তু কিছু ক্ষুদ্র যানবাহন জেলাকেন্দ্রিক সড়ক বা চট্টগ্রামের পথে চলাচল করছে। তবে এসব যানবাহন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েক গুণ টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, পর্যটক আটকা পড়ার বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আটকাপড়া পর্যটকদের বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।