নালিতাবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপারে দুর্ভোগে ৭ গ্রামের বাসিন্দা

প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২২

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পলাশীকুড়া ও বাতকুচি আমবাগান এলাকায় চেল্লাখালী নদীর উপর নির্মিত দুটি লোহার মিনি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কারণে যাতায়াতে দুর্ভোগে রয়েছেন কমপক্ষে ৭ গ্রামের মানুষ। বর্তমানে সেতু দুটি পুরাতন জরাজীর্ণ হয়ে হেলে পড়েছে। বেহাল সেতু দুটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ ও যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে যে কোন সময় ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ওই স্থানে পাঁকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি আমবাগান ও পলাশীকুড়া এলাকায় এলজিএসপির অর্থায়নে স্থানীয়ভাবে চেল্লাখালী নদীর উপর নির্মিাণ করা হয় দুটি সেতু। গত বছরের পাহাড়ী ঢলে দুই পাশের মাটি ধ্বসে যায়। পরে গ্রামবাসী মিলে ধ্বসে যাওয়া অংশে গাছ ও বাঁশ দিয়ে কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে যাতায়াত করছেন। প্রতিদিন রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেল ও সাইকেলসহ পায়ে হেটে আশপাশের এলাকার মানুষ ওই সেতু দুটি পার হন। ওই সেতুতে দুই একটি ছোট যানবাহন কিংবা লোকজন উঠলেই নড়েচড়ে উঠে ও কাঁপতে থাকে। বিশেষ করে স্কুলগামী ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ও বৃদ্ধদের চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে অভাবনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এই সেতু দুটি দিয়ে পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, বাতকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মধুটিলা ইকোপার্কে যেতে হয়। এছাড়া পলাশীকুড়া, আন্ধারুপাড়া, বাতকুচি, আমবাগান বাজার, বেকিকুড়া, বোনারপাড়া, শেকেরকুড়া, কয়ড়াকুড়ি গ্রাম এবং একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের লোকজন প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন।
সেতুতে চলাচলকারী শিশু শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম জানায়, আমরা এই ব্রিজ পার হয়ে পলাশীকুড়া স্কুলে লেখাপড়া করতে যাই। এই ব্রীজটি এখন ভেঙে গেছে তাই ভয়ে ভয়ে পার হই। এখানে একটি পাকা ব্রিজ বানালে আমরা নির্ভয়ে চলাচল করতে পারতাম। অটোরিক্সা চালক আবুল কাশেম বলেন, মধুটিলা ইকোপার্ক ও আমবাগান বাজারসহ আশপাশের এলাকায় যাত্রী নিয়ে এই সেতুর উপর দিয়ে যাওয়া আসা করি। সেতুটি এতোই নড়ে উঠে যে যাত্রীদের নামিয়ে সেতু পার হই। বর্তমানে চলাফেরা করা খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। বাতকুচি গ্রামের শিক্ষক জুয়েল মিয়া ও সুমী আক্তার জানান, সেতুর দুই পাশের সংযোগ অংশের মাটি সরে গেছে। সেতুতে মানুষ উঠলে নড়ে উঠে। তাই আমরা একা একা এই নড়বড়ে সেতুতে উঠতে সাহস পাই না। তাই এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে সেতু এলাকা পরিদর্শন করে যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।