শেরপুরে ১৬১ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমি-ঘরের চাবি হস্তান্তর

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২২

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান কার্যক্রমের আওতায় শেরপুরে ১৬১ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর তৃতীয় পর্যায়ের (২য় ধাপে) সারা দেশে ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শেরপুর প্রান্তে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘরের চাবি, জমির দলিল ও কবুলিয়ত তুলে দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌসের সভাপতিত্বে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মো. মোখলেসুর রহমান আকন্দ, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফখরুল মজিদ খোকন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খবিরুজ্জামান খাঁন, প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন, সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাঈম মো. নাহিদ হাসান, পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. হায়দার আলী, গাজীরখামার ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদুল ইসলাম আওলাদ, কামারেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান, চরমোচারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম সাব্বির আহমেদ খোকন, ধলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরের ৫ উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৪টি, নকলা উপজেলায় ২৯টি, নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৫৭টি, ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১৫টি ও শ্রীবরদী উপজেলায় ১৬টি পরিবার জমিসহ ঘর পেয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৯৪৮টি ভূমিহীন পরিবার জমি ও ঘর পেলেন। এবারের ধাপে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে জেলায় ওইসব ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
এদিকে মাথা গুঁজার ঠাই পেয়ে বেজায় খুশি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা। সদর উপজেলার বালুয়াকান্দা এলাকার অসহায় মো. শরাফত আলী বলেন, আগে ঘরবাড়ি না থাকায় অন্যের বাড়িতে থাকতাম। শেখ হাসিনার কারণে নিজের একটা ঘরবাড়ি হইল। জীবনেও ভাবি নাই নিজের পাক্কা ঘরে থাকবার পামু। এখন অন্তত শান্তিতে মরবার পামু। আল্লাহ শেখ হাসিনার ভালা করুক। পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গণইমমিনাকান্দার বিধবা শান্তি বেগম বলেন, যার ঘর নাই, জমি নাই, তার মতো দুঃখী আর কেউ নাই। রোদে পুড়ছি, বৃষ্টিতে ভিজছি। মাইনসের বাড়িতে বাড়িতে থাকছি। প্রধানমন্ত্র শেখ হাসিনা আমাগরে দুঃখ বুঝছে। কি কইয়া যে শেখ হাসিনারে দোয়া করমু বুঝতাছি না।