নালিতাবাড়ীতে ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব শুরু

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২২

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ে মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ কর্মে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া- এ মূলসুরে এবার ২৪তম তীর্থোৎসব ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে।

আগামিকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এই উৎসব চলবে।এ উৎসবকে ঘিরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ খ্রিস্টধর্ম প্রদেশের খ্রিস্টান মর্ধালম্বিদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। উৎসবটি পাহাড় জুড়ে রোম্যান ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
তীর্থ উৎসবের সমন্বয়কারী রেভান্টে ফাদার তরুণ বনোয়ারী জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী বারমারী সাধু লিও এর খ্রিস্টধর্মপল্লীতে বিগত ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরনে এই তীর্থ স্থানটি সাজানো হয়।দেশের রোম্যান ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তদের তীর্থযাত্রা উৎসবটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছর হাজার হাজার খ্রিস্টভক্তরা এখানে সমবেত হয়ে ভিন্নভিন্ন মূলসুরের উপর বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালন করে থাকেন।ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উপাসনা করার জন্য এখানে নির্মাণ করা হয়েছে ৪৮ ফুট উচু দেশের সব চেয়ে বড় মা মারিয়ার ভাস্কর্য।

এই ভাস্কর্য স্থাপনের পর থেকেই প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।অতিমারি করোনা ভাইরাসের কারনে গত দুই বছর সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর জমকালো জাকজমকপুর্ণ ভাবে ২৪তম বার্ষিক তীর্থউৎসব পালিত হচ্ছে। এই উৎসবে পাপস্বীকার, মহাখ্রিস্টযাগ,মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিরাময়, নিশি জাগরণ ও জীবন্তক্রশের পথসহ থাকছে নানা অনুষ্ঠানমালা।আজ বৃহস্পতিবার রাতে মোমের আলো প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে আলোকিত সমস্ত পাহাড়।এই নয়নাভিরাম আলোকিত পাহাড় দেখতে খ্রিস্টান ধর্মালম্বি ছাড়াও সকল ধর্মের মানুষ ভীড় জমাবে।
বারমারী খ্রিস্টধর্মপল্লীর সহ-সভাপতি ও সাবেক ট্রাইবাল চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা জানান, এবারের র্তীথ উৎসবে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকার বনানীর মেজর সেমিনারীর প্রাক্তন রেক্টর রেভারেন্ট ফাদার গাব্রেল কোরাইয়া।তীর্থ উৎসবে প্রায় দেশীবিদেশীসহ ৫০/৬০ হাজার তীর্থ যাত্রীর আগমন ঘটতে পারে। তাই এই উৎসবকে সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা প্রদানে এখানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদল নিয়োজিত আছেন। এছাড়া তীর্থস্থান এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখতে উৎসবের সার্বিক কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান রাসেল জানান, তীর্থোৎসবকে ঘিরে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকেই গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে পুরো খৃষ্টান পল্লী।