তদন্তের পর ফারদিন হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২২

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে—বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে (২৪) হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন ফারদিনকে বিভিন্ন লোকেশনে পাওয়া গেছে। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টায় রাজধানীর রাজারবাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বুয়েট ছাত্র ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামি বান্ধবী বুশরা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট যে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনার আগে ও সমসাময়িককালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটা নিয়ে কাজ করছে। তদন্ত সাপেক্ষে খুনের আসল কারণ বলা যাবে।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে। সে অনুযায়ী পুলিশ কাজ করছে।
গত সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৩টায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফারদিনের বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আমাতুল্লাহ বুশরাসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে তার রামপুরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে রামপুরায় বুশরাকে বাসায় নামিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।