শেরপুরে দাফনের ২ মাস পর কবর থেকে ওঠানো হলো লিটনের মরদেহ

প্রকাশিত: ৭:১০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

শেরপুরের যোগিনীমুরা কান্দাপাড়া গ্রামের লিটন মিয়া ওরফে হিটলারকে দাফনের ২ মাস ১০ দিন পর তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাইয়ের ছেলে আবির ইসলামের করা হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

নিহত লিটন মিয়া হিটলার (৩০) শেরপুর সদর উপজেলার ২নং চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুরা কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত হাসেন আলী মন্ডলের ছেলে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর রাতে লিটন মিয়া হিটলারকে ডেকে নিয়ে যান স্থানীয় শহিদুল ইসলাম শুভ ও তার সহযোগীরা। পরের দিন সকালে স্থানীয় মসজিদের সামনে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তখন ঘটনাটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু মনে হওয়ায় নিহতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই কবর দেয় তাকে। পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের কারণেই হিটলারকে হত্যা করেন শুভ। এরপর আদালতে অভিযুক্ত শুভসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন হিটলারের বড় ভাই হেলালের ছেলে আবির ইসলাম। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত লিটনের মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট করার নির্দেশ দেন।
এলাকাবাসী ইলিয়াস বলেন, আমাদের মসজিদের সামনে পড়ে ছিল। তারপর স্বাভাবিক মৃত্যু মনে করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই কবর দেওয়া হয়। পুলিশ আজ কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করেছে। এ হত্যার সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
স্ত্রী তাছলিমা বেগম জানায়, আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা করতে দেয়নি। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
শেরপুর সদর থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লিটন মিয়া ওরফে হিটলারের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপর মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।