পিঠার পিঠে ভাগ্য বদলের চেষ্টা অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩ পরিবারের মাঝে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনা বা সংসারে অর্থ উপার্জনের কেউ না থাকায় ফুটপাতে, রাস্তার মোড়ে-মোড়ে, খোলা আকাশের নিচে বা ভ্যান গাড়ির উপরে পিঠার দোকানে পিঠা তৈরি করে সংসার চালাচ্ছে অনেকে। যেনো পিঠার পিঠে ভাগ্যকে বদলে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পিঠা প্রেমি মানুষ পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে এসব পিঠার দোকানে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ভিড় করছেন। আবার অনেকেই পিঠার দোকানের চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাওয়াকে রেওয়াজে পরিণত করেছেন বা পরিবারের চাহিদা মেটাতে পিঠা ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। তবে শ্রমজীবী, রিক্সা-ভ্যান চালক, ড্রাইভার, বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকসহ অভিজাত শ্রেণীর লোকজনের কাছে অত্যন্ত প্রিয় খাবার পিঠা। শেরপুর জেলাধীন নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারের পিঠা বিক্রেতা শামসুল হক এমন একজন পিঠা বিক্রেতা। তিনি জানান, অন্তত ২০ বছর ধরে তিনি পিঠা বিক্রি করছেন এবং পিঠা বিক্রির আয়েই চলছে তার সংসারের চাকা। তিনি আরও জানান, পিঠা বিক্রি করা এখন আমার নেশা হয়ে গেছে। চালের গুঁড়া দিয়ে জলীয় বাষ্পের আঁচে তৈরী করি ভাঁপা পিঠা। আর মিষ্টি করার জন্য দেয়া হয় গুড়। চিতই পিঠার সাথে সরিষার ভর্তা, শুটকি ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তা দেই। আর প্রতিটি পিঠার দাম ১০ টাকা করে রাখি। পিঠা খেতে আসা হাসান-হিমি দম্পতি জানান, চিতই পিঠার সাথে সরিষার ভর্তা, শুটকি ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তা জিভে জল আসার মত স্বাদের কারণেই আমরা মাঝে মধ্যে পিঠা খেতে আসি এবং এসব পিঠা নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি পরিবারের বাকি লোকজনদের জন্য নিয়ে যাই। স্থানীয় সচেতন মহলের অনেকেই মনে করছেন পিঠা ব্যবসায়িরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি তারা লালন করছেন দেশীয় এ সংস্কৃতি। Related posts:জাতীয় শ্রমিকলীগ ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিতঝিনাইগাতীতে ১০ প্রশিক্ষিত যুবক-যুবতীর মাঝে ঋণ বিতরণশেরপুরে ব্যতিক্রমী কিডস রান অনুষ্ঠিত Post Views: ১৩২ SHARES শেরপুর বিষয়: