প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আলোকলতা বা স্বর্ণলতা

প্রকাশিত: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩

আব্দুল্লাহ আল-আমিন : বাংলাদেশের প্রতিটি ঋতুই ভিন্ন রূপবৈচিত্র্য নিয়ে হাজির হয় প্রকৃতিতে। এ দেশের প্রকৃতিতে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে যে কয়েকটি লতা, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্বর্ণলতা বা আলোকলতা।

দেশের সব জায়গায় কম বেশি দেখা যায় স্বর্ণলতা। গ্রামে বসবাসকারী বা গ্রামে যাওয়া আসা করেন এমনসব মানুষ এই লতাটিকে চেনেন। পরজীবী এই উদ্ভিদ বেশিরভাগ দেখা যায় বড়ই গাছের কাণ্ডে। এর সবুজাভ সোনালি উজ্জ্বল রঙ বহুদূর থেকে নজর কেড়ে নেয় দর্শনার্থীর।
শিশিরভেজা মৃদু বাতাসে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার হলুদ রঙের গালিচায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে আলোকলতা। এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে নকলা উপজেলা পরিষদ পুকুর পাড়ে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঝুরি ঝুরি হলদে সুতা ঝুলে আছে। এর ওপর রোদ পড়লে চকচক করে।
বাজারদী এলাকার বাসিন্দা প্রতৃতি প্রেমী ফখরুল আমিন সিদ্দিকীর সাথে কথা বলে জানা যায,
গান-কবিতা ও সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বর্ণলতা একটি আলোচিত নাম। দেখতে অদ্ভূত সুন্দর
যার বৈজ্ঞানিক নাম- Cuscuta Reflexa। এ গাছের বীজ ও কান্ড ঔষধি গুণে ভরা।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আলোকলতা একটি পরজীবী উদ্ভিদ। গাছেই এর জন্ম, গাছেই বেড়ে ওঠা, বংশবিস্তার। কোনো পাতা নেই, লতাই এর দেহ-কাণ্ড-মূল সব। এই লতিকার বেড়ে ওঠা ভরা মৌসুম মূলত পৌষ থেকে চৈত্র মাস। তবে এই সময়ের আগে-পরেও এই তৃণলতা জন্মে।