শেরপুরে কৃষক হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ আরও ৩ আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২৩

শেরপুর সদর উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীতে কৃষক কবজ উদ্দিন হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ আরও ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪। ১ আগস্ট মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১৪ ও ময়মনসিংহ জেলার আকুয়া বাইপাস এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে ওই হত্যা মামলার মোট ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সদর উপজেলার রামেরচর গ্রামের মোঃ আব্দুল হামিদ খন্দকারের ছেলে ও মামলার প্রধান আসামি মো. শাহিন মিয়া (৩৫) এবং একই গ্রামের মো. আমির হকের ছেলে মো. আনোয়ার (৩৬) ও মো. মিজানুর রহমান (৩৪)।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শেরপুর সদর উপজেলার রামেরচর গ্রামের সরকার বাড়ি ও আকন্দ বাড়ির বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরে গত ১৬ জুলাই আকন্দ বাড়ির কবজ উদ্দিনের চাচাতো ভাই মো. মিস্টার আলী এবং তার ভাই মো. লিটন মিয়া কবজ আলীকে মারপিট করে সরকারবাড়ির লোকজন। ওই ঘটনায় সরকারবাড়ির কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন মো. মিস্টার আলী। এদিকে গত ২৬ জুলাই রাতে কবজ উদ্দিন রাতের খাবার খেয়ে স্থানীয় ছনবাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও তিনি বাড়িতে না আসায় স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ২৭ জুলাই সকালে স্থানীয় একটি সবজি ক্ষেতে কবজ উদ্দিনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় কবজ উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই আসামিরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র‌্যাব-১৪’র জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামানের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল ১ আগস্ট মঙ্গলবার ভোররাতে ময়মনসিংহ জেলার আকুয়া বাইপাস এলাকা থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহিন মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ঢাকার মিরপুর-১৪ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনোয়ার ও মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে র‌্যাব-১৪’র জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, এ নিয়ে কৃষক কবজ উদ্দিন হত্যা মামলায় মোট ৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতার আসামিদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।