বিএনপিও ভোটে আসবে, ইসির আশা অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৩ ধীরে ধীরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসবে, এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, একটা সময় আসবে, বিএনপিও ভোটে আসবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের করণীয় কিছু নেই। সব সময় বলি, বিশ্বাস করি— এসব প্রশমিত হয়ে আসবে। আল্টিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর। ২০ আগস্ট রবিবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে কোনো ধরনের চাপ ছিল না দাবি করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা এতগুলো ভোট করেছি, আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। এখনও আমাদের মাথায় কোনো চাপ নেই। কিন্তু বাইরে থেকে মানুষ ধারণা করতে পারে, এরকম-ওরকম চাপ রয়েছে। সত্যিকার অর্থে কোনো তরফ থেকে বলা হয়নি— এরকম করে দেন, ওরকম করে দেন। কোনো দিক থেকেই কমিশনের কেউই চাপের মধ্যে নেই। এটা জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। অনেক এগিয়ে গেছে ও চলছে। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরি করা। আগামীকাল (সোমবার) কমিশন সভায় উঠবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে চায় কমিশন। অবশ্য এখনও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপিসহ আরও বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের মধ্যে ভোটের সব প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনার রাশেদা বলেন, প্রশিক্ষণ শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এজন্য ভোটকন্দ্রের তালিকা করার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার বিষয়ে তোড়জাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোকবলকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগের মতো সবাই পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করবেন। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপরে তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে তিনি বলেন, আমরা নিয়োগ দেবো না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র হয়ে পর্যবেক্ষকরা আসবেন। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে। কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও জানান কমিশনার। এসময় ভোট মানেই চ্যালেঞ্জ এমন মন্তব্য করে রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোট মানেই চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে হোক, ব্যালটেই হোক। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে যা যা করা দরকার তা চেষ্টা করে যাচ্ছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটা বড় স্টেপ- দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়া সবখানে ব্যালট পেপার যতটা সম্ভব সকালে পাঠানোর চেষ্টা করব। এসব নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা চলছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে তিনি বলেন, অস্থিরতা তো সারাজীবন থাকবে না। কোনদিন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল না?… অতীতকে আমরা আঁকড়ে ধরব না। অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে এগোতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা এখনও আশাবাদী বিএনপি ভোটে আসবে। দেড় বছর ধরে বরাবরই বলে আসছি, তারা আসবে। রাজনীতির কূট কৌশল, কে কীভাবে এগোবে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বলা কঠিন। এটা তারা কীভাবে নিচ্ছেন, কী কারণে করছেন, কী চিন্তা করছেন; এটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু আশাবাদী, কমিশন মনে করে ইনশাআল্লাহ আসবে। ইসিকে আস্থায় আনার বিষয়টি বিএনপির মাথায় আনারও অনুরোধ জানান তিনি। রাশেদা সুলতানা বলেন, আস্থায় রাখতে না পারলে… উনারা মাথায় নিচ্ছে না আস্থায় আনা যায়। মাথায় নিলেই আস্থায় এসে যাবে। আমার ধারণা, একটা পর্যায়ে উনারা আস্থায় নেবেন, ভোটে আসবেন আমার বিশ্বাস। উল্লেখ্য, গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাদের সংলাপের আহ্বান, আনুষ্ঠানিক চিঠি কোনো কিছুতেই সাড়া দেয়নি বিএনপি। তাদের দাবি, সরকারের আজ্ঞাবহ এই নির্বাচন কমিশন। তাই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির পাশাপাশি বর্তমান কমিশন ভেঙে দেওয়ারও দাবি আছে বিএনপির। Related posts:১ সেপ্টেম্বর হবে বাঁক বদলের সূচনা: ছাত্রলীগ সভাপতিদক্ষতা নিশ্চিতে ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন হবে: শিক্ষামন্ত্রীপ্রধানমন্ত্রীকে কমনওয়েলথ মহাসচিবের অভিনন্দন Post Views: ১৩১ SHARES জাতীয় বিষয়: