শেরপুরে সরিষার আবাদ বেড়েছে ২১৫ শতাংশ

প্রকাশিত: ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩

শেরপুর জেলায় রোপা আমন ও সরিষার আবাদ বাড়াতে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা হয়েছে শেরপুরে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) শেরপুর খামারবাড়ী প্রাঙ্গণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় তথ্য উপস্থাপন করে জানানো হয়, গত দুই বছরে এ প্রকল্পের আওতায় স্থায়ী ও মৌসুমী পতিত জমি রোপা আমণ-সরিষা-বোরো ফসল বিন্যাসের ফলে শেরপুর জেলায় শস্যের নিবিড়তা ২১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২১৫ শতাংশ হয়েছে। তাছাড়া পলিনেট হাউজ, বস্তায় আদা চাষ, ভার্মি কম্পোস্ট, বাহারি রঙিন ফুলকপি, তরমুজ, ভুট্টা, বারোমাসি সজনা, জি-নাইন কলা, ভাসমান সবজি, মিশ্র ফলবাগানসহ বিভিন্ন জাতের উচ্চমূল্যের এবং স্বল্প পানি সেচের ফসলসহ বহুমুখী শস্য আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
কর্মশালায় শেরপুর খামারবাগির উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাসের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।
এতে বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট জামালপুর কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মঞ্জুরুল কাদের, শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাইফুল আজম খান, ইউরোপে ফল ও সবজি ররপ্তানির সরকারি তদারকি প্রতিষ্ঠান রাজধানীর শ্যামপুরের সেন্ট্রাল প্যাকিং হাউজের কোয়ারেন্টাইন স্টেশনের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শোয়েব আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।
এছাড়াও অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রকল্পের আওতায় চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন শ্রীবরদী উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সাদিকুল হাসান স্বাক্ষর, শেরপুর সদরের লছমনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, ঝিনাইগাতীর বাকাকুড়া এলাকার কৃষক ফজলুল হক প্রমুখ।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বারি, বিনা, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, সেন্ট্রাল প্যাকিং হাউজ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন, বিএডিসির কর্মকর্তাসহ জেলার ৫ উপজেলার মাঠ পর্যায়ের কৃষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।