শেরপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগ ॥ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ শেরপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-সহকারী প্রশিক্ষক মোহাম্মদ পবন আলীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সেমিস্টারের নাদিয়া আফরিন নামে এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার বিচারের দাবীতে ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ইনস্টিটিউটে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। হেনস্তার শিকার ওই শিক্ষার্থী বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার আমাদের কলেজে ক্লাস টেস্ট পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে, অধ্যক্ষ স্যরের নির্দেশে পরিক্ষার কেন্দ্রে থাকা সকলের ফোন জমা নেওয়া হয়েছিল। জমা নেওয়ার কিছু সময় পরে উপ-সহকারী প্রশিক্ষক মোহাম্মদ পবন আলী পুনরায় পরিক্ষার কেন্দ্রে আসে এবং আমার কাছে ফোনের পাসওয়ার্ড দিতে বলে। ওইসময় আমি পাসওয়ার্ড দিতে রাজি না হলে আমাকে ধমক দিয়ে জোর পুর্বক পাসওয়ার্ড নিয়ে আমার ফোনে থাকা আমার ব্যক্তিগত ছবি ও বিভিন্ন তথ্য নিয়ে নেয়। পরীক্ষা শেষে আমি আমার ফোন নিতে গেলে সে (পবন আলী) আমার ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে এবং বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা করে। ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, হয়রানির শিকার হয়ে আমি শারিরীক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি। আমি প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই এবং ওই উপ-সহকারি প্রশিক্ষকের (পবন আলী) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে অভিযুক্ত উপ-সহকারি প্রশিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। আন্দোলনকারী শিক্ষাথীদের সাথে কথা বলেন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল আজম খানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। ওইসময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, তোমাদের আবেগ এবং অনুভুতির প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। তোমরা আমার উপর আস্থা রাখো আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। আমি তোমাদের সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি এবং তদন্তের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চাচ্ছি। তোমরা সকলেই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করো। অধ্যক্ষের আশ্বাসের পর আন্দোলন স্থগিত করে পরীক্ষায় ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা। ইনস্টিটিউটের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এই পরিবেশে থাকতে চায় না, আমরা প্রশাসনের কাছে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই। ওই শিক্ষাথী আরও বলেন, ওই স্যারের (পবন আলী) আরো সমস্যা আছে। পরীক্ষা দিতে গেলে উনি (পবন আলী) আমাদের মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিকাব খুলতে বাধ্য করে। উনি শিক্ষক হিসেবে কিভাবে মেয়ে শিক্ষার্থীর নিকাব খুলতে বলে। আমরা তার দৃষ্টমূলক শাস্তি চাই। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান আশিক বলেন, এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত পবনকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় ছাত্রসমাজ এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। আমরা ছাত্রলীগ পরিবার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। Related posts:শেরপুরে ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় অনুষ্ঠিতঝিনাইগাতীতে ৪০ দিনের কর্মসূচি উদ্বোধনকিছুদিন পর দেশে ঘর দেয়ার মতো গরীব খুঁজে পাওয়া যাবেনা: নকলায় মতিয়া চৌধুরী Post Views: ৫২৪ SHARES শেরপুর বিষয়: